ডেস্ক: এমন কিছু খাবার জিনিস রয়েছে যা কয়েক বছর পর্যন্ত ভাল থাকে, নষ্ট হয়ে যায় না। ফলে এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হয় না! কারণ এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া জিনিস স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। দেখে নিন তার তালিকা।
মধু: মধুর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। আয়ুর্বেদেও এর উল্লেখ আছে। সর্দি-কাশি অথবা ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা করতে, মধু দারুন কাজ করে। মধু কিন্তু নষ্ট হয় না। ফুলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মধু এমন অমর-অবিনশ্বর করে রাখার পেছনে ওরাই দায়ী। এখনও পর্যন্ত সব থেকে পুরনো মধু অবিকৃত অবস্থায় মিলেছে তা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো। মধু সংরক্ষণ করতে কাঁচের মুখবন্ধ জার ব্যবহার করুন। তবে দেখবেন যাতে ঢাকনা শক্ত করে আটকে থাকে। মেটাল বা প্লাস্টিকের পাত্রে মধু রাখবেন না।
চাল: চাল অনেকদিন রাখা যায়, তবে বেশিদিন রাখলে চালে ছোট ছোট পোকা ধরে যায়। তাই চালের মধ্যে কয়েকটা শুকনো নিম পাতা দিয়ে রাখুন। দেখবেন পোকা লাগবে না। এমনকি গমও এই একই পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে।
ডাল: চালের মতো ডালও ভারতীয়দের অন্যতম প্রধান খাদ্য। যেকোনও ডাল দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। তবে মাঝেমধ্যে সূর্যের আলোতে দিলে, ডাল আরও ভাল থাকবে।
নুন: নিজে তো নষ্ট হয়ই না, উল্টে অনেক জিনিসপত্র অবিকৃত রাখতে কয়েক হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে নুন। তবে যখনই এর সঙ্গে আয়োডিন মেশানো হয়, তখনই এর আয়ু কমে ৫ বছর হয়ে যায়।
সয়া সস: না খোলা বোতল প্রায় নষ্ট হয় না বললেই চলে। ফ্রিজে রাখলে আরও ভালো। তবে আসল না নকল সে দায় আপনাকেই নিতে হবে।
কর্নফ্লাওয়ার: কনফ্লাওয়ার সম্পর্কে কমবেশি আমরা প্রত্যেকেই জানি। নানান মুখরোচক খাবার তৈরিতে কনফ্লাওয়ার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কর্নফ্লাওয়ারও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে।
ভিনেগার: সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে, সাদা ভিনেগার দীর্ঘসময় সুরক্ষিত থাকে। তবে অন্যান্য ধরণের ভিনেগার, যেমন- ওয়াইন ভিনেগার বা অ্যাপল সিডার ভিনেগার সময়ের সাথে সাথে রঙ পরিবর্তন করতে পারে।
গুঁড়ো দুধ: গুঁড়ো দুধ প্রায় ২-১০ বছর পর্যন্ত ভাল থাকতে পারে, বিশেষ করে এয়ারটাইট পাত্রে যখন রাখা হয়। ৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নীচে ঠান্ডা জায়গায় অথবা ফ্রিজে গুঁড়ো দুধ রাখলে ভাল থাকে।
শুকিয়ে রাখা বিনস: চালের সঙ্গে বিনস নিয়েও গবেষণা করার সময় বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা করার সময় দেখেছেন প্রায় ৩০ বছর পরেও শুকিয়ে রাখা বিনসের গুণগত মান প্রায় একই রকম রয়েছে।
ম্যাপেল সিরাপ: মধুর মতো এও অবিনশ্বর। অনেক সময় বাতাসের জলীয় বাস্প ঢুকে সামান্য পরিবর্তন হয় ঠিকই। তবে সিরাপ খানিক ক্ষণ ফুটিয়ে উপরিভাগের ফ্যানা ফেলে দিয়ে ঠান্ডা করে ফের তা বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখলে দীর্ঘ দিন অবিকৃত থাকতে পারে।
মদ: ওয়াইন ইয়াডে একটু খোঁজ করলেই জানতে পারবেন, সেখানে প্রায় কয়েক শো বছরের পুরনো মদ থাকে। যত পুরনো হয়, তার দামও তত বেশি হয়। কোনও কিছু না মিশিয়ে বোতলে ভরে রাখলে কোনও দিনও নষ্ট হয় না মদ।