দুর্গাপুজোর পর এ বার কালীপুজো, ভাইফোঁটা এবং ছটপুজোর মতো অপেক্ষা করছে আরও কিছু উৎসব। উৎসব উদ্যাপনের একটা বড়ো অংশ দেদার খাওয়াদাওয়া। কিন্তু এই সময় নিজের স্বাস্থ্যের, বিশেষ করে হার্টের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ের মধ্যে, আমরা না চাইলেও, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভাজাভুজি, মিষ্টি, নোনতা এবং জাঙ্ক ফুড খেয়ে থাকি, যা আমাদের হৃৎপিণ্ডের পাশাপাশি আমাদের পেটকেও প্রভাবিত করে।
পরিসংখ্যান বলছে, ১০ জনের মধ্যে প্রায় ৬ জন ভারতীয়ের এখন এলডিএল কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে। ফলে হার্টের যত্ন নেওয়া এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ‘ব্যাড কোলেস্টেরল’ নামে পরিচিত এলডিএল-সি। যার উচ্চ মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, উচ্চ কোলেস্টেরল কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ বা উপসর্গ সৃষ্টি করে না, তাই একে “নিশব্দ ঘাতক” বলা হয়। খাবারদাবারের ধরনই উচ্চ কোলেস্টেরলের জন্য দায়ী। যেসব জিনিসে বেশি পরিমাণে স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে, সেগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যায়।
উৎসবের সময় বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি হয়। আর বাইরে হোটেল-রেস্তোঁরাতেও ভিড় চোখে পড়ার মতন। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে খাওয়াদাওয়া থেকে নিজেকে আটকানো কঠিন। কিন্তু এর সহজ সমাধান হল যে ভাবেই হোক সীমিত পরিমাণে খাবার খাওএয়া। বেশি ভাজাভুজি, মিষ্টি খেলে পেট খারাপ হতে পারে এমনকি ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলও বেড়ে যেতে পারে।
খাওয়াদাওয়া ছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয় হার্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, স্ট্রেস। উৎসবের সময় আমাদের চাপও বেড়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, স্ট্রেস রক্তচাপ বাড়ায় এবং এটা হার্টের জন্যও ভালো নয়। তা ছাড়া পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার। ঘুম ভালো হলে আমাদের মেজাজ ঠিক থাকে। স্ট্রেস এবং দুশ্চিন্তা চলে যায়, যা হার্টকে সুস্থ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।