পুজোয় ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নতুন ডেস্টিনেশন কালিম্পং এর ছোট গ্রাম সুন্তালে

ডেস্ক: পুজোয় সেজে উঠছে পাহাড়। পুজোর মুখে পাহাড়ের বিভিন্ন স্পটে বইছে খুশির হাওয়া।পুজোয় ভিড় ছাড়িয়ে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে কুয়াশা মাখা অচেনা পথের বাঁকে। সেই সমস্ত ভ্রমণপিপাসুদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে কালিম্পঙ জেলার ছোট গ্রাম সুন্তালে।

প্রায় ৬ হাজার মিটার উঁচুতে পাহাড়ের কোলে সবুজে ঘেরা এই গ্রাম। ঘরের জানলা খুলেই উঁকি দেবে তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা। কান পাতলেই শোনা যাবে চেনা-অচেনা এক ঝাঁক পাখির ডাক। আর এসবের মাঝেই চারিদিক জড়িয়ে থাকবে অদ্ভুত এক পাহাড়ের নিস্তব্ধতা। এখানে কখনও রোদ আবার কখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, সঙ্গে দোসর হচ্ছে কুয়াশাও। এমন আবহে পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এখানকার হোম স্টে এবং লজগুলো। 

পাহাড়ের বেশ উঁচুতে অবস্থিত এই হোমস্টে এখন পর্যটকদের কাছেও ধীরে ধীরে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। পুজোর জন্য নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এই হোমস্টে। শুধু তাই নয়, এই হোমস্টের খুব কাছেই একটি দুর্গা পুজো হয়। সেখানেও যেতে পারবেন পর্যটকেরা। এখানে আছে– সানরাইজ, সানসেট পয়েন্ট। কখনও রোদ, কখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, সঙ্গে সামান্য ঠান্ডা– এমন আবহাওয়া মন জয় করবেই পর্যটকদের। এখান থেকে খুবই কাছে লাভা, লোলেগাঁও, ঝান্ডি,  লুনসেল, মাঞ্জিং-সহ বিভিন্ন স্পট।

আরও পড়ুন: চলুন ঘুরে আসি পাইন ঘেরা লেপচাজগতে

নিউ মালবাজার রেল স্টেশন থেকে গরুবাথান ব্লকের এই সুন্তালের দূরত্ব প্রায় ৪৪ কিলোমিটার। মালবাজার স্টেশন থেকে গাড়ি বুক করে সোজা পৌঁছে যেতে পারবেন সুন্তালে। ৪ জনের গাড়ির খরচ পড়বে মোটামুটি ৮০০ টাকা। আবার স্টেশন থেকে শেয়ার গাড়িতে গরুবাথান এসে সেখান থেকেও গাড়ি রিজার্ভও করতে পারেন। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ধরে পৌছে যাওয়া যাবে সুন্তালেতে। ইতিমধ্যে পর্যটকেরা আসতেও শুরু করেছেন এই এলাকায়। এখানকার আবহাওয়াও অপূর্ব। বেশ কিছু হোমস্টে রয়েছে। যেখানে অর্গানিক শাকসব্জিও মেলে পর্যটকদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে বেশ আকর্ষণীয় পরিবেশ।

Related posts

বাইরে বেরোলে জ্বালাপোড়া গরম, কী করবেন আর কী করবেন না?

আজ ধনতেরাস, জানুন সোনা কেনার শুভ সময়

ধনতেরাসে সোনা কেনার সময় এই ৫টি বিষয়ে সজাগ থাকুন