করোনা বাড়িয়েছে আতঙ্ক, শীতের পোশাকও কি এবার ধুতে হবে রোজ?

ওয়েবডেস্ক : যে কোনও মুহূর্তে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঢুকিয়ে দিয়েছে কতগুলো বাড়তি কাজ। মাস্ক পরে স্যানিটাইজার নিয়ে বাড়ির বাইরে বেরনো, আবার বাড়ি ফিরে নিজেকে আগাপাশতলা সাফসুতরো করা।

জীবিকার প্রয়োজনে নিয়ম করে গণপরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে আমাদের। শত চেষ্টাতেও সম্ভব হচ্ছে না স্পর্শ বাঁচানো। ফলে বাড়ি ফিরে রোজই চলছে দীর্ঘ স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া। ফলতঃ ঘরের থেকে স্নানঘর বা লন্ড্রি রুমেই কেটে যাচ্ছে দিনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা ঘণ্টা।

এর থেকে বাঁচার উপায়? কী বলছেন চিকিৎসক? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের কাপড় তা শীতের পোশাক হোক বা সাধারণ কাপড়, তাতে রয়েছে অতিচ্ছিদ্র সম্পন্ন তল। করোনার ড্রপলেট বা মিউকাস অতিছিদ্রসম্পন্ন তলে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না। তাই যেকোনও কাপড়েই বেশিক্ষণ থাকতে পারে না ভাইরাস।

কাপড়ে বড়জোর ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে ভাইরাস। সে ক্ষেত্রে এই ধরনের জামাকাপড় বাড়িতে রাখবেন কী ভাবে? ১২-১৩ ঘণ্টা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখবেন কী ভাবে?

বা়ড়িতেই একটা আলাদা জায়গা বানান। যেখানে বাইরের জামা কাপড় আলাদা করে কারও স্পর্শ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়। ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর সরিয়ে নিতে পারেন সেখান থেকে।

তবে বেশি নিশ্চিত হতে চাইলে শীতকালে দু’সেট গরম জামাই যথেষ্ট। একটা শীতের পোশাক পরার ২৪ ঘণ্টা পর সেটা আবার পরা যেতে পারে ভাইরাসের ভয় ছাড়াই।

তবে যদি কারও দু’সেট জামা কাপড়েও সমস্যা থাকে তবে তিনি ওই জামাটিই ইস্ত্রি করে নিতে পারেন। গরম কিছুর সংস্পর্শে এলে শুকিয়ে যাবে ড্রপলেট। নষ্ট হবে ভাইরাস। অথবা রোদে ঘণ্টাখানেক রাখলেও চলবে। 

তবে প্লাস্টিক বা ধাতব জিনিস সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। আমাদের জামাকাপড়ে অনেক সময়ই এ ধরনের জিনিসও ব্যবহার করা হয়। সে ক্ষেত্রে আলাদা করে নির্দিষ্ট জায়গাটি স্যানিটাইজ করে নিলে সুরক্ষা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। কারণ প্লাস্টিক বা ধাতব তলে অন্তত ৫ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে এই ভাইরাস।

Related posts

বাইরে বেরোলে জ্বালাপোড়া গরম, কী করবেন আর কী করবেন না?

আজ ধনতেরাস, জানুন সোনা কেনার শুভ সময়

ধনতেরাসে সোনা কেনার সময় এই ৫টি বিষয়ে সজাগ থাকুন