শীতের পিকনিক, রইল কলকাতার কাছে অজানা জায়গার খোঁজ

ডেস্ক : দরজায় এসে কড়া নাড়ছে শীত। আর শীত আসা মানেই মনটা যেন অজান্তেই ছুটে চলে যায় সুদূরের পথে। শীতের মিঠে কড়া রোদ গায়ে মেখে ছুটির দিনে বনভোজন যেন এক অনাবিল আনন্দ।সামনে বড়দিন , নতুন বছর বন্ধুদের সাথে তো পিকনিকের প্ল্যান করতেই হয়। কোথায় পিকনিক করতে যাবেন বুঝতে পারছেন ? চিন্তা নেই! কলকাতার আশেপাশে ৪ টে পিকনিক স্পটের হদিস দিলাম , আপনার শীত টা জমে যাবে –

বিশ্রাম বাগানবাড়ি – কলকাতা থেকে ৭০ কিমি দূরত্বে টাকি নামক জায়গাটি পিকনিকের উপযুক্ত স্থান। টাকি স্টেশন থেকে নেমে মিনিটখানেক মতো হেঁটে গেলেই পড়বে ইছামতী নদী আর তার পাড়েই রয়েছে বিশ্রাম বাগানবাড়ি। বাগানবাড়ির ভেতরে থাকা ছোট ছোট কটেজে বন্ধুদের সাথে ভালই সময় কাটাতে পারবেন।সবুজের সমারোহে এখানে পিকনিক করার মজাই আলাদা। শহরের গ্যাঞ্জাম থেকে দূরে এখানে পিকনিক করার অন্যরকম স্বাদ। রাত্রিবাসের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

পুস্পবন – ডায়মন্ড হারবার
শীতকালে পিকনিকের জন্য আদর্শ জায়গা হলো ডায়মন্ড হারবারের পুষ্পবন। পুস্পবনের অদূরে রয়েছে দুটি প্রাচীন কেল্লার ধ্বংসাবশেষ , আপনি যদি ইতিহাস প্রেমী হন পিকনিক করতে গিয়ে একবার ঢু মেরে আসতেই পারেন। তবে এখানে আগে থেকে বুকিং করতে হয়।

ক্যাপ্টেন ভেরি – কলকাতার মধ্যেই এমন এক অসাধারণ জায়গা রয়েছে পিকনিকের জন্য। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটনে ক্যাপ্টেন ভেরি পিকনিকের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। সুন্দর জলাভূমির মধ্যে পিকনিক করতে এলে টাটকা মাছ উপরি পাওনা হিসেবে পাওয়া যাবে।সায়েন্স সিটি থেকে চিংড়িঘাটা যেতে এই পিকনিকের প্রবেশপথ পড়বে। বিকেলের দিকে বোটিংও করতে পারবেন।

সুকান্তনগর ভেরি – সেক্টর ৫
সেক্টর ৫ বললেই মনে আসে বড়ো বড় অফিস , এই অফিস পাড়ায় যে এত ভালো পিকনিকের জায়গা আছে তা আপনি ধারণা ও করতে পারবেন না। মিঠে রোদে শীতের আবেশে গা ভাসান। জলচর পাখিদের দেখতে পাবেন , নিজের মনের মত করে ঘুরে আসুন ।

 ছত্রভোগ: এককালে বন্দর হিসেবে সুপরিচিত ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই গ্রাম। মহাপ্রভু এখান থেকেই নৌকায় পাড়ি দিয়েছিলেন পুরী। তবে সেই আদি গঙ্গা এখন আর নেই। গঙ্গা ছাড়াও জায়গাটি এত সুন্দর একবার গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে করবে না। ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্দির রয়েছে। যার নাম ডাক খুব। এ ছাড়াও পুরনো অনেক মন্দির রয়েছে। যা আপনার মন ভরিয়ে দেবে। শিয়ালদা থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে করে মথুরাপুররোড স্টেশনে নেমে ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার গেলেই ছত্রভোগ গ্রাম। এখানে পিকনিক করতে হলে স্টেশন থেকে সব কিনে নেবেন। আর নিজেরাই রান্নার সরঞ্জাম নিয়ে যাবেন।

 সুখারিয়া: মন্দির ঘেরা একটি জায়গা। জায়গার নামটিও এত সুন্দর শুনলেই যেতে ইচ্ছে করবে। মন্দিরময় জায়গা। শিব আর কালি মন্দিরে ঘেরা সুখরিয়া গ্রাম। গ্রামের উত্তর দিকে রয়েছে গঙ্গা। নদীর ধারেই রয়েছে কয়েকশো বছরের পুরোনো সিদ্ধেশ্বরী মন্দির। নদীর ধারেই রয়েছে পিকনিকের জায়গা। এখান থেকে আপনি সবুজদ্বীপেও ঘুরে আসতে পারেন। হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকালে সোমড়াবাজার নামুন। স্টেশন থেকে ২০ থেকে ২৫ মিনিট হেঁটেও যেতে পারেন। অটো বা টোটোতেও যেতে পারেন।

 কাশফুল বাগানবাড়ি:  এই বাগান বাড়ির মজার বিষয় হল এই কাশফুল। গাছে গাছে ঘেরা বাগানবাড়ি। আর চারিদিকে কাশফুল। পিকনিক করার জন্য দারুণ জায়গা। সড়কপথে জাগুলিয়া  থেকে ভৌমিক পাড়ার আনন্দপুর। আর ট্রেনে গেলে কাঁচরাপাড়া স্টেশনে নেমে যেতে হবে। 

ডাবু: মাতলা নদীর তীরে অবস্থিত অত‌্যন্ত জনপ্রিয় পিকনিকের জায়গা ডাবু। তবে এখানে পিকনিক করতে এলে অনুমতি নিতে হয় সেচদপ্তরের থেকে। পিকনিকের যাবতীয় সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। এখানে দেখা পেতে পারেন বেশ কিছু বিরল প্রজাতির পাখিরও। থাকার জন‌্য রয়েছে সেচদপ্তরের সুদৃশ‌্য বাংলো। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা থেকে ধরতে হবে ক‌্যানিংগামী ট্রেন। সময় লাগবে ঘণ্টা দেড়েক মতো। ক‌্যানিং স্টেশন থেকে অটো বা সাইকেল রিকশায় চেপে মিনিট পনেরোর মধ্যে পৌঁছে যেতে পারেন ডাবুতে। সড়কপথে গাড়িতে এলে গড়িয়া-বারুইপুরের রাস্তা ধরে ক‌্যানিং চলে আসা যায়।

Related posts

বাইরে বেরোলে জ্বালাপোড়া গরম, কী করবেন আর কী করবেন না?

আজ ধনতেরাস, জানুন সোনা কেনার শুভ সময়

ধনতেরাসে সোনা কেনার সময় এই ৫টি বিষয়ে সজাগ থাকুন