ডেস্ক: ২ মে কী হবে, তার ঝলক আমরা দু দিন আগে নন্দীগ্রামে দেখেছি।’হুগলির জনসভায় বক্তব্যের শুরুতেই বললেন মোদী। দিদি, এবার পরাজয় স্বীকার করে নিন। দিদি আপনার সামনে হার, এবার মেনে নিন। দিদি, ভোট কোনও খেলা নয়, গণতন্ত্র খেলা নয়। গণতন্ত্র হল মানুষের সেবা, উন্নতির পথ, আপনি ভুলে গেছেন।
রাজনৈতিক ফায়দা তুলে সিঙ্গুরের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সিঙ্গুরে না আছে শিল্প, না আছে কর্মসংস্থান। সিঙ্গুরে প্রসঙ্গ তুলে মমতাকে খোঁচা দিলেন মোদী। সিঙ্গুরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সিঙ্গুরে শিল্প নেই। চাকরি নেই। আর মধ্যস্থতাকারীদের নিয়ে ব্রিবত কৃষকরা। পর্যাপ্ত হিমঘর না থাকায় হুগলির আলু নষ্ট হয়ে যায়। হিমঘরেও সিন্ডিকেট চলে। আলু চাষিরা কম দামে ফসল বেচতে বাধ্য হচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারে এসে একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ শানালেন মোদী।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে প্রথমেই কৃষক-স্বার্থে পদক্ষেপ নেবে। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই কৃষাণ সম্মান নিধি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাংলায় বিজেপি সরকারের শপথগ্রহণের সময় আমি আসব। বাংলায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, দিল্লির টাকা আনতে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নিন।
বাংলার প্রতিটা কৃষককে বকেয়া টাকা-সহ ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ১০ বছর সরকার ঘুমিয়ে পড়েছিল। নতুন সরকার আসার পর সরকারি মেশিন সক্রিয় করতে সময় লাগবে। দুর্গাপুজোর আগে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে। কৃষক ভাইবোনদের কাছে অনুরোধ করছি, ১০ বছর যা হয়েছে হয়েছে, ধ্বংস যা হওয়ার হয়েছে। কৃষকদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। তার জবাব দেওয়ার সময় কাছে এসে গিয়েছে।
এখানে হিমঘরের সঙ্গে খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণে বিনিয়োগ আরও বাড়ানো হবে। পিএম কিসান সম্মান নিধির সুবিধা পেয়েছেন গোটা দেশের ১০ কোটির বেশি কৃষক। কোনও কাটমানি নেই। কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে পাই পাই পয়সা। বাংলার কৃষকরা বঞ্চিত থেকে গিয়েছেন। ২ মে ডবল ইঞ্জিন সরকার আসছে। ডবল বেনিফিট দেওয়া সরকার তৈরি হবে। বিজেপি সরকার এসেই কৃষক হিতে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলায় পিএম কিসান সম্মান নিধি লাগু করা হবে।
আরও পড়ুন: দেবশ্রীকে নিয়ে ক্ষোভ ছিল, তাই ওকে প্রার্থী করিনি: মমতা
দিদি, এবার পরাজয় স্বীকার করে নিন। দিদি আপনার সামনে হার, এবার মেনে নিন। দিদি, ভোট কোনও খেলা নয়, গণতন্ত্র খেলা নয়। গণতন্ত্র হল মানুষের সেবা, উন্নতির পথ, আপনি ভুলে গেছেন।
মোদি এ দিন বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নির্বাচন কমিশন বা নিরাপত্তাবাহিনীর দিকে অভিযোগ তুলছে নিজদের সমস্যা আছে বলেই। তাঁর কথায়, “খেলার মাঠে কোনও খেলোয়াড় যদি আম্পায়ারের দিকে আঙুল তোলে, তাহলে বুঝতে হবে তাদের ত্রুটি আছে। আসলে তাঁর খেলা শেষ।” মোদি বললেন, আপনার হার নিশ্চিত। আপনি স্বীকার করুন। হুগলির মানুষের আওয়াজ শুনুন। নির্বাচন খেলা নয়, গণতন্ত্র খেলা নয়, গণতন্ত্র মানুষের সেবার পথ। মানুষের উন্নতির পথ। আপনি সবই ভুলে গিয়েছেন। বাংলার লোকের সঙ্গে তাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন”।
মিষ্টি দই এখানে বিখ্যাত, মানুষরাও মিষ্টি, সেখানে থেকে এত তিক্ততা কোথা থেকে আনেন দিদি, আক্রমণ মোদীর।