ডেস্ক: ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই শীতলকুচিতে উত্তেজনা, চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণের দিন ভোটের লাইন শুরুর সময় থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কোচবিহারের শীতলকুচি। প্রথমবার ভোট দিতে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু যুবকের। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল
শীতলকুচির পাগলাপীরে ভোটের লাইনে চলল গুলি৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের ৷ মৃতের নাম আনন্দ বর্মন ৷ মৃত তাদের দলের সমর্থক বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও পরিবারের দাবি, তিনি বিজেপি সমর্থক। ঘটনায় রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের।
এবার প্রথম ভোট দিতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আনন্দ বর্মণ নামের এই ১৮ বছরের প্রথম ভোটার। তাঁর পিঠে গুলি লাগলে তিনি মারা যান বলে বাড়ির লোকের অভিযোগ। মৃতের মামা অভিযোগ করে বলেন, “এখানে আমরা সকালে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমরা বিজেপি সমর্থক। তাই তৃণমূল সমর্থকরা বোমা, বন্দুক নিয়ে ভোটের লাইনে আক্রমণ করা হয়। গুলি চলে। তাতেই আনন্দ বর্মণের পিঠে গুলি লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।”
ঘটনার পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকায়। বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনী দেখেই আরও বেশি রুখে দাঁড়ান গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে বাহিনী, পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিআরপিএফ যদি গণ্ডগোল করে, মেয়েদের বলে দিচ্ছি, ওদের ঘেরাও করে রাখবেন’: মমতা
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিজেপি হার্মাদদের আক্রমণে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে যেই মারুক না কেন এই ঘটনা গণতন্ত্রের লজ্জা। রাজ্যে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে নির্বাচন হচ্ছে। তার পর কী করে দুষ্কৃতীরা বুথের লাইনে গুলি চালাতে পারে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে।
ভোটের আগের থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শীতলকুচি। শনিবার সকালেও উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাইকে এসে জনা বারোর দুষ্কৃতী পরপর চারটি বোমা ছোড়ে।