ডেস্ক: “রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই তারা বিজেপির কথা অনুযায়ী কাজ করছে। নির্বাচনে নিরপেক্ষতা থাকছে না”। নির্বাচনী প্রচারের এই ভাবে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন মমতা।
অমিত শাহ দাবি করেছেন, প্রথম তিন দফায় ৯১টি আসনের মধ্যে ৬৩ থেকে ৬৮টি আসনে জয়ী হবে বিজেপি ৷ এই ধরনের দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা তৃণমূলনেত্রী দাবি করেছেন, “তিনটে দফায় ভোট হয়ে গিয়েছে, তাতে আমরা জিতছি, মনে রাখবেন। বিজেপি আমাদের ধারে কাছে নেই”।
তৃণমূলনেত্রী বলেন, “একা জিতে তো লাভ নেই। আমার ভোট হয়ে গেছে। আমি জিতবই। আমি যেখানে দাঁড়াই জিতবই। আমি এখানে দাঁড়ালেও আপনারা আমাকে ভোট দিতেন। আমি একা জিতে তো সরকার গঠন করতে পারব না। ২৯৪-এর মধ্যে ২০০ ন্যূনতম চাই। আমাদের ২০০ আসন পার করতে হবে”।
কালকে এত অত্যাচার করেছে আরামবাগে। আমার তফশিলি মেয়ে সুজাতা মণ্ডল প্রার্থী, তাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে। ইলেকশন কমিশনকে বলব অসমের বর্ডার সিল করতে। ভুটান শান্তিপ্রিয় জায়গা, আমার বন্ধু দেশ। কিন্তু তাও বলব বর্ডার সিল করতে। মনে রাখবেন, কোচবিহারের আশেপাশের কিছু জায়গা আছে বাংলাদেশের। সেই জায়গাগুলিও সিল হবে। যাতে বাইরে থেকে এসে কেউ গুণ্ডামি করতে না পারে।
সিআরপিএফ যদি গণ্ডগোল করে, মেয়েদের বলে দিচ্ছি, ওদের ঘেরাও করে রাখবেন একদল, আর একদল ভোট দিতে যাবেন। একদল ঘেরাও করবেন, একদল ভোট দিতে যাবেন। ভোট নষ্ট করবেন না।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংঘর্ষে ভোটের আগে উত্তপ্ত নানুর, রাতভর বোমাবাজি
উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, অগস্ট মাসে আবার ‘দুয়ারে সরকার’ হবে। যদি কেউ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না পান, সব পেয়ে যাবেন। আপনার বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। বিনা পয়সায় খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, পানীয় জল, কাজ পাবেন। ১০০ দিনের কাজ দুশো দিনের হতে পারে। আমরা জিতলে তফশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের মায়েরা ১ হাজার করে হাতখরচ পাবেন। অন্য ক্যাটাগরির যাঁরা আছে তাঁরাও ৫০০ টাকা পাবেন।
এবার ৩ হাজার লোকের চাকরি হবে পুলিশে। বলে উদ্বাস্তুদের জমি দেব। ছিট মহল কে করে দিয়েছিল? ৬০ বছর চ্যাংড়াবাঁধা রেল হয়নি। আমি করে দিয়েছি। পদতিক, উত্তরবঙ্গ একপ্রেস আমার করে দেওয়া। কামাক্ষা এক্সপ্রেস, শতাব্দী আমার করে দেওয়া।