কলকাতা: “১০ ভাগের ১ ভাগ লোক যদি কাজ করে থাকেন তাহলে তারা কেন টাকা পাবেন না ? সবকিছু তো অবৈধ হতে পারে না। আপনারা চাইছেন সিবিআই অনুসন্ধান করুক, তদন্ত করুন, কিন্তু নিরীহ মানুষের টাকা কেন আটকে থাকবে ?” গত দু’বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে থাকায় এমনই মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির।
১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ২০২২ সালের নভেম্বরে প্রথম মামলা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। ভুয়ো জব কার্ড দেওয়া হয়েছে। অসত্য তথ্য দিয়ে জব কার্ড করানো হয়েছে। ব্যাঙ্ক আকাউন্টের অপব্যবহার, মৃত ব্যক্তির নামে জব কার্ড করানোর মতো ঘটনা হয়েছে।
এর পর মাস কয়েক আগে হাইকোর্টে মামলা করে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজদুর সমিতি। তারা অভিযোগ করে, কেন্দ্রীয় সরকার যে অর্থ দিচ্ছে না, তার ফলে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরাও টাকা পাচ্ছেন না। কেন টাকা পাবেন না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
পশ্চিমবঙ্গ খেত মজুর সংগঠনের করা এই মামলায় তাদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, ভুয়ো জব কার্ড খুঁজে বার করতে হবে সরকারকে। কিন্তু আসল জব কার্ড রয়েছে যাঁদের, তাঁরা কেন ভুক্তভোগী হবেন? তাঁদের আটকে থাকা টাকা ছেড়ে দেওয়া হোক। এর পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, “যাঁদের জব কার্ড ভুয়ো তাঁরা টাকা পাবেন না ঠিক আছে, কিন্তু কারা আসল আর করা নকল সেটা তো খুঁজে বের করতে হবে। এখানে অনেক পচা আপেল আছে, তাই ভালো আপেল খুঁজে বার করতে হবে।”
কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, “চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের তরফে আপনাদের কাছে একটি কমপ্ল্যায়েন্স রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখুন। তারপর টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।”
কেন্দ্রকে আদালতের প্রশ্ন, “আদালত কোনও অবৈধ কাজ সমর্থন করে না, কিন্তু কিছু লোক তো ১০০ দিনের প্রকল্পে বৈধ ভাবে কাজ করেছেন। রাস্তা তৈরি হয়েছে, তারা কেন বঞ্চিত হবেন?