বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটে আমি কথা দিচ্ছি বাংলা থেকে তৃণমূল জিতবে। বাংলার বাইরে বুক ছিটিয়ে লড়াই করবো। বিজেপির নেতারা বলছে টাকা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি এটাই চেয়েছিলাম। ওরা জনসমক্ষে বলুক।
অভিষেক এদিন বলেন, ‘রেকর্ড ভিড় হয়েছে এবারের সমাবেশে। সভাস্থলে যত মানুষ আছেন, তার ১০ গুণ বেশি মানুষ বাইরে আছেন। আগামীর পথ দেখাবে এবারের একুশে জুলাই। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফলাফল না হওয়ার পর একুশে জুলাই হয়েছিল। বিধানসভা ভোট নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। সেদিন জেদ নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম যে তৃণমূল কর্মীদের মতোই হতে হবে নেতাদের। জান-প্রাণ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য লড়াই করবেন। দিল্লির বুকে গণতান্ত্রিক, গঠনমূলক, মানুষের জন্য সরকার গঠনের সূচনা হল এই সভায়।’
তৃণমূল অন্য রাজ্যে গিয়েছে। আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। বাংলায় আরও বলিষ্ঠ করে আমরা ভারতে জোড়াফুল পৌছে দিতে পারছি ততদিন শান্ত হব না। পঞ্চায়েত হবে। সাধারণ মানুষের জনসমর্থন নিয়ে ভোট হবে। মানুষ চাইলে আপনি প্রার্থী হবেন। যত বড় নেতার ছত্র ছায়ায় থাকুন প্রার্থী হবেন না।
মমতা বন্দোপাধ্যায় থাকতে উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। বাংলা মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুথে বুথে যান। মানুষের পাশে যান। মানুষের কাছে যান। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের জনসমর্থন নিয়ে যেতে হবে। বাইরের রাজ্যেও লোকসভায় আমরা লড়ব। এই রাজ্যেও আমরা জিতব। সবাই তাকিয়ে আছে মমতা বন্দোপাধ্যায় আর তৃণমূলের দিকে। যেখানে দরকার সেখানে আমি যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘দাদার জয় বয়ে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাবেন না। মানুষের সার্টিফিকেট পেলে তবেই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের টিকিট পাবেন। তৃণমূল করতে গেলে নির্ভীক, নির্লোভী করতে হবে।’ নাম না করে অভিষেক এদিন শুভেন্দু এবং দলত্যাগী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকের তৃণমূল অন্য তৃণমূল। এই তৃণমূলে মীরজাফর, ধান্দাবাজরা নেই। এই তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহার মতো নয়। যত মারবেন, তত শুদ্ধ হবে।’