ডেস্ক: বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই শেষ হল প্রথম দফার নির্বাচন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ৮২ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮০. ১২ শতাংশ ভোট পড়েছে, ঝাড়গ্রামে ৮০.৫৫ শতাংশ, পুরুলিয়ায় ৭৭.০৭ শতাংশ ও বাঁকুড়ায় ৭৯.৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ৫টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে গড়বেতায়। এখানে ৮২.৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
প্রথম দফার ভোটে বেলা ১টা পর্যন্ত ৫৪.৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে। পুরুলিয়ায় বেলা একটা পর্যন্ত ৫১.৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। ঝাড়গ্রামে বেলা একটা পর্যন্ত ৫৯.২৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। বাঁকুড়ায় বেলা একটা পর্যন্ত ৫৭.২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে বেলা একটা পর্যন্ত ৫৭.৮২ শতাংশ ভোট পড়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলা একটা পর্যন্ত ৫২.৩৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।
চাপ সৃষ্টি করে নির্বাচন কমিশনের বিধি বদল করিয়েছে বিজেপি, অভিযোগ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। অন্যদিকে, প্রথম দফার নির্বাচনে রিগিং ও হিংসা কম হয়েছে বলে দাবী কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। এদিন তিনি সাংবাদিকদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি নেতা প্রলয় পালের কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ করেন।
পুরুলিয়ায় তৃণমূল, শালতোড়া-গোপীবল্লভপুরে বিজেপি। পিছিয়ে নেই শাসক থেকে বিরোধী কেউই। ভোট টানতে ভোটারদের ছোলা-মুড়ি, চা বিস্কুট খাওয়ানোর ব্যবস্থা। প্রথম দফার ভোটেই উঠল উৎকোচ দেওয়ার অভিযোগ।
আরও পড়ুন: বিশেষ শ্রেণির জন্য ভোট চাইতে বাংলাদেশে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’, মোদীকে তোপ মমতার
নন্দীগ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। ৩ তৃণমূল কর্মী আহত।পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্লকের পাড়ুই গ্রামে বিজেপির দলীয় পতাকা ছেড়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ। আহত ৪ জন। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ আধা সামরিক বাহিনীর। পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মীকে গুলি করার হুমকি, রিপোর্ট তলব কমিশনের। আবার অন্যদিকে, ইভিএমে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে বোতাম টিপলেই ভোট চলে যাচ্ছে বিজেপিতে, কাঁথিতে অভিযোগ।
নন্দীগ্রামের সাউদখালি ও মনসাবাদে বিজেপির বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ। এক মহিলা জখম। স্থানীয়দের অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। কেশিয়ারির দাদরা গ্রামে প্রাথমিক স্কুলের সামনে স্থানীয়দের রাস্তা অবরোধ। অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই শেষ হল একুশের প্রথম দফার নির্বাচন। নীল বাড়ি কার দখলে যাবে সেই রায় দেবে বাংলার মানুষ, বাকি এখন সাত দফা।