ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ যখন প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ চলছে, তখন বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘ভোটের মধ্যে কেন বাংলাদেশে গেলেন’? নির্বাচনী জনসভা থেকে এবার প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ পার বাংলায় মতুয়ার সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। রাজ্যের সত্তরটিরও বেশি বিধানসভা কেন্দ্র মতুয়ারা ‘বড় ফ্যাক্টর’। এদিন বাংলাদেশে মতুয়াদের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান ওরাকান্দিতে যান মোদী। বলেন, ‘মতুয়া সম্প্রদায়ের লক্ষাধিক ভাইবোনের এখানে এসে যে অভিজ্ঞতা পান, আমিও সেটাই অনুভব করছি। তাঁদের হয়ে এই পুণ্যভূমির চরণ স্পর্শ করলাম’।
নারায়ণগড়ের সভায় নাম না করে তিনি আক্রমণ করে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী-শিশির অধিকারীদের। এদিনও শুভেন্দু শিশিরদের গদ্দার-মীরজাফর বলেন মমতা।পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে মমতা অধিকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “একটা পরিবার হলদিয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটি, দিঘা ডেভলপমেন্ট অথরিটি, কন্টাই ব্যাঙ্ক, কন্টাই মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান, পরিবেশ মন্ত্রক, পরিবহণ মন্ত্রক কী দিইনি! আজ নির্বাচনের আগে আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পালিয়েছে। এখন অমিত শাহকে দিয়ে আমায় ভয় পাওয়ায়।”
আরও পড়ুন: ‘ভোটারদের প্রভাবিত করছে সিআরপিএফ’, কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের
তিনি আরও বলেন, “দুই গদ্দার ছিল। বাপ আর ব্যাটা ।এখন বিজেপিতে গিয়ে জ্যাঠা হয়েছে। ওদের সম্পর্কের যত বলি ততো আমার ঘৃণা হয়। কেন বলুন তো ,আসলে লজ্জাটা আমার, আমি তো এত বাড়িয়েছি। আমি এত দিয়েছি, যা চেয়েছি তাই দিয়েছে।”
এদিন সভায় বিজেপিকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। খেলতে আমিও ভালো পারি। এক পায়ে এমন শট দেবো, কান মুলে বের করে দেবো রাজনীতির মাঠের বাইরে।বিজেপি বোল্ড আউট।”