দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে যা ৬ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর জেরে আগামী দু-একদিন পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে নাম হবে ‘অশনি’। শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম। আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত শেষ পর্যন্ত নিম্নচাপ হয়ে ৮-১০ মে-এর মধ্যে ফের সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। আবার ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও আপাতত সেটির অভিমুখ ওড়িশা উপকূলের দিকে হতে পারে৷ সতর্কতা হিসেবে সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের আগামীকালের মধ্যে উপকূলে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। আজ বুধবার দক্ষিণাঞ্চলের ঘূর্ণাবর্ত তৈরির অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। সেই নিম্নচাপই শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা।
বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমী বাতাসের প্রভাবে আগামী ৫ দিনের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গ-সিকিমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১০ মে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পূর্ব মেদিনীপুরসহ একাধিক জেলায় ইতিমধ্যে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মৌসম ভবন। এদিকে অসম, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরায় ৪ মে তে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগামী সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে শুরু হতে পারে বৃষ্টি। আগামী মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই ঝড়। মঙ্গল ও বুধবার ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।