উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্যভবনের

কলকাতা: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ। বিভিন্ন শিশু হাসপাতালের আইসিইউ-তে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যাডিনো ভাইরাস ও শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত অসুখ মোকাবিলায় নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যভবন।

চিকিৎসকদের মতে, ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের ফুসফুস, এমনকী ফেটে যাচ্ছে ফুসফুসের দেওয়াল। যা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যু ঠেকাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের নতুন নির্দেশিকায়।

বলা হয়েছে, হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেন্টিলেটর প্রস্তুত রাখতে হবে। শিশুবিভাগে পর্যাপ্ত বেড রাখতে হবে। শিশু বিভাগ না থাকলে তৈরি করতে হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে রোজ কত রোগী আসছেন, জানাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনকে।

প্রসঙ্গত, অ্যাডিনোভাইরাসে সংক্রমণের সাধারণ উপসর্গ ধুম জ্বর,সর্দি-কাশি, সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। শিশুদের জন্য প্রাণঘাতী হচ্ছে এই ভাইরাস। বড়দের ততটা কাবু করতে না পারলেও, তাঁদের থেকেও এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে শিশুদের শরীরে। তাই জ্বর-সর্দি-কাশি হলে বড়দেরও সাবধানে থাকতে হবে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলেই থাবা বসায় অ্যাডিনোভাইরাস। প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণ ফ্লু-এর মতোই জ্বর, হাঁচি, সর্দি-কাশি, চোখ জ্বালা, ডায়েরিয়া, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে আক্রান্ত শিশুদের। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপসর্গ থাকছে ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত। চরম পরিণতিতে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

Related posts

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৩ শতাংশ

হুগলির ধনিয়াখালিতে বিক্ষোভের মুখে লকেট, অশান্ত পরিস্থিতি

ভোট চলাকালীন ঝেঁপে বৃষ্টি, ছাতা মাথায় ভিড় ভোটারদের