ডেস্ক: ২০১৯ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার ২ বছর পর মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন নতুনরা। পদত্যাগ করতে হয়েছে অভিজ্ঞ মন্ত্রীদের। বাদ পড়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, রবিশঙ্কর প্রসাদের মতো নেতা। এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন নতুন ৪৩ জন। বাংলা থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন ৪ সাংসদ। ২০২৪ ভোট ব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে জোর দেওয়া হয়েছে তারুণ্যকে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। গত বছর বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য। তাঁর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রামচন্দ্র প্রসাদ সিংহ। জেডিইউ সাংসদ প্রাক্তন আইএএস রামচন্দ্র প্রসাদ সিংহ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অনুরাগ ঠাকুর। হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরের বিজেপি সাংসদ অনুরাগ। তিনি বিসিসিআই-এর কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন সেকেন্দ্রাবাদ থেকে প্রথমবার সাংসদ হওয়া জি কিষাণ রেড্ডি।
এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। অটল বিহারী বাজপেয়ীর সচিব ছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। ওড়িশা থেকে রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পশুপতি পারস। রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই পশুপতি। লোকসভায় এলজেপির সংসদীয় দলের নেতা পশুপতি। বিহারের হাজিপুর থেকে এলজেপি সাংসদ পশুপতি। তিনি বিহারে তিনবার মন্ত্রী ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। প্রথমবার সাংসদ হয়েই প্রতিমন্ত্রী হলেন জন বার্লা। তিনি আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। প্রথমবার সাংসদ হওয়ার পর এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। তিনি শপথ গ্রহণ করলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এবার পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন কিরেন রিজিজু। অরুণাচল পশ্চিমের বিজেপি সাংসদ কিরেণ রিজিজু। তিনি এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন। ২০০৪-এ প্রথমবার সাংসদ হন কিরেণ রিজিজু। পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রাজকুমার সিংহ। ইউপিএ আমলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন তিনি। বিহারের আরা থেকে বিজেপি সাংসদ হন তিনি।
শপথ নিলেন পুরুষোত্তম রুপালা। গুজরাত থেকে দু’বারের রাজ্যসভার সাংসদ পুরুষোত্তম রুপালা। মোদি মন্ত্রিসভায় কৃষি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন পুরুষোত্তম। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মনসুখ মান্ডবিয়া। গুজরাত থেকে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ মনসুখ। ২০১২ থেকে রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ মনসুখ। তিনি জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন রাজীব চন্দ্রশেখর। কর্ণাটক থেকে রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব। শপথ গ্রহণ করলেন সত্যপাল সিংহ বাঘেল। আগরা থেকে বিজেপি সাংসদ সত্যপাল। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। শপথ নিলেন পঙ্কজ চৌধুরী। উত্তরপ্রদেশ থেকে ৬ বারের সাংসদ হলেও, প্রথমবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন পঙ্কজ। কর্ণাটক থেকে লোকসভার বিজেপি সাংসদ শোভা। তিনি আজ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কর্ণাটকের চিত্রদুর্গের বিজেপি সাংসদ কে নারায়ণস্বামী। চারবারের বিধায়ক, প্রথমবারের সাংসদ নারায়ণস্বামী। তিনি আজ শপথ গ্রহণ করলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঝাড়খণ্ডের সাংসদ অন্নপূর্ণা দেবী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নয়াদিল্লির বিজেপি সাংসদ, পেশায় আইনজীবী মীনাক্ষী লেখি। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুরাতের সাংসদ দর্শনা বিক্রম জরদৌশ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মণিপুরের বিজেপি সাংসদ রাজকুমার রঞ্জন সিংহ। তিনি আজ শপথ গ্রহণ করলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পশ্চিম ত্রিপুরার বিজেপি সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। ত্রিপুরা থেকে প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কেউ জায়গা পেলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন হিমাচল প্রদেশের সাংসদ অজয় ভট্ট। এছাড়া শপথ নিলেন বানোয়ারিলাল বর্মা, অজয় কুমার, দেবু সিংহ চৌহান, ভগবন্ত খুবা, মোরেশ্বর পাতিল।