প্রথম পাতা খবর রাজ্য বাজেটে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ৬০ হাজার কোটি থেকে বঞ্চিত বাংলা! মোদীকে তোপ মমতার

রাজ্য বাজেটে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ৬০ হাজার কোটি থেকে বঞ্চিত বাংলা! মোদীকে তোপ মমতার

68 views
A+A-
Reset

ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। বিধানসভায় চলতি আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করল সরকার। ঘোষণা করা হল চারটি নতুন প্রকল্প। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের অসুস্থতার কারণে এ বার বাজেট পেশ করছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সপ্তদশ বিধানসভার এটাই প্রথম বাজেট। গতকালই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও নিয়ম মেনে রাজ্য বাজেটে অনুমোদন দিয়েছেন।

এই বাজেটে ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদলের ঘোষিত সামাজিক প্রকল্পগুলি ঘোষণা করা হবে বলে প্রত্যাশা ছিল। জিএসটি বা পণ্য পরিষেবা কর, পরিবহণ ক্ষেত্রে রোড ট্যাক্স, স্ট্যাম্প ডিউটিতে বিশেষ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব রাখের রাজ্য বাজেটে। দলিল, রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রেও বাজারদর হ্রাসের প্রস্তাব দেন তিনি। আগামী অর্থবর্ষে ৩০৮৭২৭ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব। পরিবহণ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হল রোডট্যাক্সে। কোভিড পরিস্থিতির কারণে ৩১জুন পর্যন্ত ছাড় ছিল। রোড ট্যাক্সে ছাড়ের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল। ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত বাংলা, অভিযোগ করেন মমতা।

রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ মমতার

রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আরও একবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, রাজ্যকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্র। ৬০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, মমতার কথায়, ”এখনও ৩৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা পাই। এত বঞ্চনার পরও রাজ্যের জিডিপি বেড়েছে।” একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘ইয়াশের ক্ষতিপূরণও মেলেনি। রাজ্যকে বঞ্চনা করা হয়েছে।’ শুধু তাই নয়, করোনার ভ্যাক্সিন সহ একাধিক বিষয় নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছেন তিনি।
পণ্য পরিষেবা করে ছাড়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বাজেট বক্তৃতায় বলেন, জিএসটি কাউন্সিলের অনুমোদিত সংশোধনীগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই চালু করতে হয়। রাজ্য তা করতে প্রস্তুত। সেইমতো জিএসটি কাউন্সিল অনুমোদিত ১৪টি সংশোধনীর প্রস্তাব পেশ করছি। ফিনান্স বিলের মাধ্যমে এই ১৪টি সংশোধনী করা হবে।
তফসিলি জাতি-জনজাতি 
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শীঘ্রই শুরু হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। সেই প্রকল্পের আওতায় জেনারেল ক্যাটেগরির পরিবারকে মাসিক ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। তফসিলি জাতি ও জনজাতির পরিবারে মাসিক ১,০০০ টাকা দিতে হবে।

স্ট্যাম্প ডিউটিতে বিশেষ ছাড়
এছাড়া স্ট্যাম্প ডিউটিতে বিশেষ ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, করোনা মহামারীর জেরে দেশে আর্থিক-মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যও তার বাইরে নয়। ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। তাই রাজ্য সরকার চায়, জমি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয়, লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিতে।
পরিবহণ ক্ষেত্রে ছাড়ের প্রস্তাব
মমতা বলেন, করোনা মহামারীর কারমে অর্থনৈতিক বিপর্যয় এসেছে পরিবহণ ক্ষেত্রে। সেই কথা চিন্তা করে রাজ্য সরকার ২০২১-এর জানুয়ারি থেকে ২০২১-এর ৩০ জুন পর্যন্ত রোড ট্যাক্স ও অতিরিক্ত ট্যাক্সে ছাড় দিয়েছিল। এখনও কোভিড পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি, ফলে এই কর ২০২১-এর ১ জুলাই থেকে ২০২১-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মকুব করার প্রস্তাব রাখছি।
দলিল ও রেজিস্ট্রেশনেও ছাড়
রাজ্য সমস্ত ধরনের দলিল ও রেজিস্ট্রেশনেও বাজার দর ১০ শতাংশ হ্রাস করার প্রস্তাব দেন তিনি। ২০২১-এর ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দলিল রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করলে এই দুটি সুবিধাই পাওয়া যাবে।
প্রকল্পে বরাদ্দ
কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ২,০০০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসাথীতে ১,৯০০ কোটি টাকা।  স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
দেউচা পাচামিতে এক লাখ
দেউচা পাচামিতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এক লাখ কাজ হবে। রঘুনাথপুরে ২-২.৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে। ৭২,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসছে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাজেটে কাজের খতিয়ান ও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য পরিচালনায় রাজ্যের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি বজায় আছে। রাজ্য সরকার কোভিড পরিস্থিতি দারুণ সামাল দিয়েছে। টিকাকরণে আমরা এক নম্বর। ২ কোটি ৩০  লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।” পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায় বাংলার অর্থনীতিতে বিগত ১০ বছরে সাফল্য এসেছে। অতিমারি, আমফানের পরেও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামাজিক বিষয়গুলি পালন করা হয়েছে। দুয়ারে সরকার চালু হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা ঘরে বসেই পেতে পারেন।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সম্পাদকের পছন্দ

টাটকা খবর

©2023 newsonly24. All rights reserved.