উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের ছায়া এ বার জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলার একটি গ্রামে। সেখানকার কমপক্ষে ২০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এ ভাবে ভূমি তলিয়ে যাওয়া অথবা ডুবে যাওয়া রোধে একটি সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছেন সরকারি কর্তৃপক্ষ।
বেশকিছু বাড়ির ফাটল বেশ চওড়া। এলাকার একটি মসজিদেও ফাটল ধরেছে। স্বাভাবিক ভাবেই ভিটে হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। খবর পেয়েই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের তড়িঘড়ি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গ্রামে পাঠানো হয়েছে বিশেষজ্ঞ টিম। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই নিজের নিজের আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। ভূতাত্ত্বিক এবং সিনিয়র জেলা আধিকারিকদের একটি দল ফাটলের কারণ অনুসন্ধান করছে।
ডোডার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আতহার আমিন জারগার জানিয়েছেন, “গত ডিসেম্বরে ডোডা জেলার একটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। গতকাল পর্যন্ত ছয়টি ভবনে ফাটল থাকলেও এখন এসব ফাটল বাড়তে শুরু করেছে। এই এলাকা ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছে। সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে”।
ডোডার ডেপুটি কমিশনার বিশেষ মহাজন জানিয়েছেন, ঠিক কী কারণে বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছে, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা রিপোর্ট দেওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাথরির নয়ি বস্তি গ্রামে প্রায় ৫০টির মতো বাড়ি রয়েছে।