লোকসভার নিরাপত্তা কর্মীকে নিগ্রহের অভিযোগ, কড়া শাস্তির মুখে পড়তে পারেন ৬ TMC সাংসদ

ডেস্ক: রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার এবং শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ আনলেন লোকসভার মহিলা নিরাপত্তা কর্মী চন্দ্রকলা। বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষের অধিবেশন শেষে রাজ্যসভায় ঢোকার শেষ করেন তাঁরা। বাধা দেওয়া হলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তার জেরে জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়েছে এবং নিরাপত্তাকর্মীরা আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।আহত হওয়ার ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে লোকসভার সচিবকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য এই ঘটনায় অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন অর্পিতা ঘোষও। সব মিলিয়ে রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদদের বরখাস্ত হওয়ার ঘটনার রেশ তো কাটলই না, বরং নতুন মাত্রা পেল তরজা।


পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। চাওয়া হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ওই অংশের দাবি, পুরো বাদল অধিবেশনেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হতে পারে। যদিও তৃণমূলের পালটা বক্তব্য, শুধুমাত্র বুধবারের অধিবেশনের জন্য ওই ছয় সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ফলে অধিবেশন শেষে তাঁরা তো রাজ্যসভায় ঢুকতেই পারেন। কেন তাঁদের আটকানো হবে?

আরও পড়ুন: ক্যাপ্টেনের হাত ছাড়লেন পিকে, এবার সরাসরি রাজনীতিতে?


এই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।  ট্যুইটারে একটি ভিডিও তুলে দিয়ে ডেরেক লিখেছেন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পেগাসাস কাণ্ডে আলোচনা করতে নিমরাজি হয় সরকার। এরপর ৩০ জন বিরোধী সাংসদ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সকালে ১১টা ১৩ মিনিট নাগাদ প্ল্যাকার্ড হাতে থাকার কারণে বরখাস্ত করা হয় ৬ সাংসদকে। এরপর দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেদিনের মতো মুলতুবি হওয়ার পরেই তিন তৃণমূল সাংসদকে সংসদ কক্ষে ঢুকতে  একজন পুরুষ মার্শাল তাদের বাধা দেন। গোটা ঘটনা তুলে ধরে ডেরেকের প্রশ্ন, এটা কি গণতন্ত্র চলছে!

Related posts

দেশের ৪৯টি আসনে ভোটের হার ৬০.০৯ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গের সাতটি আসনে ৭৪.৬৫ শতাংশ

বিজেপির বিজ্ঞাপনে হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৩ শতাংশ