প্রথম পাতা খবর আমফানের পুনরাবৃত্তি আর চান না, ‘দুয়ারে ত্রাণ’ মমতার! টাকা যাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে

আমফানের পুনরাবৃত্তি আর চান না, ‘দুয়ারে ত্রাণ’ মমতার! টাকা যাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে

283 views
A+A-
Reset

ডেস্ক: আমফান থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়েই তাই ইয়াসের ক্ষেত্রে আর ‘ভুল’ করতে চান না তিনি। তাই ইয়াসের ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণ বণ্টনের রাশ নিজের হাতেই রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩ মে থেকে ত্রাণ বিলির কাজ শুরু করবে রাজ্য সরকার। 


ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার। এটি প্রাথমিক হিসেব। এরপর হবে ফিল্ড সার্ভে। তাতেই উঠে আসবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসেবে। নবান্নে আজ এমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নেওয়ার জন্য ৩ জুন থেকে দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি চালু করা হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।


আমফানের সময় ত্রাণ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ত্রাণ দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগ উঠেছিল। যা ভোটের প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল BJP। তাই এবার ইয়াসের পর সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি চান না মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে ‘দুয়ারে সরকার’, তারপর ‘দুয়ারে রেশন’-এর আদলে এবার ইয়াসের পর ‘দুয়ারে ত্রাণ’ বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, একদিনের বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়-সহ টর্নেডোর জেরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার। সেই কারণে দ্রুত ত্রাণ বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মনে রাখতে হবে, বছরখানেক আগে আমফানের ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি-সহ বাকি বিরোধীরা। যে কারণে এ বার ত্রাণ বিলির বিষয়ে রাজ্য যে বিশেষ সতর্ক থাকতে চলেছে তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই কার্যত স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্টের সমস্যা, আচমকাই অসুস্থ অনুব্রত, আনা হল কলকাতায়


এদিন তিনি কড়া ভাবে বলেন, “অর্থ দফতরকে বলব, আমফানের সময় যে কাজগুলো হয়েছে সেগুলোর অবস্থা কী তা খতিয়ে দেখতে হবে। জলে আমি এত টাকা ঢালবো না।”


বলেন, ‘‌আগামী ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ‘দুয়ারে ত্রাণ’ শিবিরে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন নেওয়া হবে। এবার আর কারও মাধ্যমে নয়, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত, তিনি সরাসরিই আবেদন করবেন। যতটুকু ক্ষতি হয়েছে ততটুকুই বলবেন। ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সেই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে। তারপর ১ থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পেয়ে যাবেন।’‌

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কারও কথায় ত্রাণ বন্টন হবে না। দুয়ারে সরকার–এর সময়ে সরকারি অফিসাররা এলাকায় গিয়েছিলেন সেভাবে এবারও যাবেন। যার বাড়ির ক্ষতি হয়েছে তিনি একটি আবেদনপত্র লিখে অ্যাপ্লিকেশন বক্সে ফেলে দিয়ে আসবেন। আবার হাতেও দিতে পারেন।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.