ডেস্ক : রাতভর মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে তাণ্ডবলীলা চালালো ঘূর্ণিঝড় ‘তউটে’। তউটের ধাক্কায় আরব সাগরেই উল্টে গিয়েছে ‘বার্জ পি ৩০৫’ নামের ওই জাহাজটি। জানা গিয়েছে ওই জাহাজে ২৭৩ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১৮২ জনকে। এখনও নিখোঁজ ৮০। এদিকে, গাল কনস্ট্রাক্টর এবং এসএস -৩ -তে নামে আরও দুটি জাহাজ থেকে মোট ৩৩৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি, সোমবার নৌবাহিনী, হেলিকপ্টার, টগ নৌকা এবং উদ্ধার জাহাজকে মুম্বাই উপকূলের উঁচু সমুদ্রের বিভিন্ন বাঁধে আটকে থাকা ৫০০ জনেরও বেশি লোককেও উদ্ধার কড়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তউকতের তাণ্ডবে এখানে আইকনিক গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে একটি সমুদ্রমুখী সুরক্ষা প্রাচীর এবং লোহার গেট ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এবং এর আশেপাশের কয়েকটি ফুটপথও ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় তাউটের প্রভাবে সুরাত সহ একাধিক এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। সকাল থেকেই বৃষ্টির মাঝেও রাস্তা পরিস্কার ও গাছ কাটার কাজে ব্যস্ত বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও তার প্রভাব এখনও গুজরাটে দেখা যাচ্ছে।
গুজরাটের উপকূলে নীচু জায়গা থেকে সরানো হয় প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় আহমেদাবাদ, সুরাট সহ একাধিক গুরুত্পূর্ণ শহরের বিমানবন্দর। প্রথমে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও পরে রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ করে রাখা হয় মুম্বই বিমানবন্দরও।
উদ্ধারকার্যে সবরকম সাহায্যে নামে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভারতীয় নৌসেনার তরফে তিনটি জাহাজ আইএনএস কলকাতা, আইএনএস কোচি ও আইএনএস তালওয়াড় নামানো হয় উদ্ধারকার্যে। রাতভর ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয় একাধিক রাস্তা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগও।
সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাউটে গুজরাটের আহমেদাবাদের ২১০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে আছড়ে পড়ে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ল্যান্ডফল বা আছড়ে পড়ার তিন ঘণ্টা পর থেকেই ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।