ডেস্ক: বেহালার পর্ণশ্রী জোড়া খুনে এখনও রহস্য। মা ও ছেলের খুনের ঘটনায় এবার তদন্ত শুরু করল লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। খুনের ৭২ ঘণ্টা পরেও অধরা সূত্র। একাধিক মিসিং লিঙ্কের খোঁজে তদন্তকারীরা। বুধবার রাতে পর্ণশ্রীর ওই ফ্ল্যাটে দু’দফায় তল্লাশি চালান তাঁরা।প্রথমে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার ৫ অফিসার তল্লাশিতে যান। এরপর মৃতার স্বামী তপন মণ্ডলকে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।
মা-ছেলে খুনের ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় নিহত সুস্মিতা মণ্ডলের স্বামী তপন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে লালবাজারের তদন্তকারীরা। বুধবারও চলেছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। এরই মধ্যে এদিন গভীর রাতে পর্ণশ্রীর সেই আবাসনে হানা দেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা। প্রায় এক ঘণ্টা পর তপন মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যান। তপনের হাতে ছিল একটি ব্যাগ।
বেহালার পর্ণশ্রীতে মা-ছেলের নৃশংস হত্যার পিছনে কি পরিচিতরই হাত রয়েছে? তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই জোরাল হচ্ছে এই সম্ভাবনা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, সোমবার দুপুর ৩টে থেকে বিকেল চারটের মধ্যে খুন করা হয় সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তমোজিৎকে। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার ২ ঘণ্টা পর মৃত্যু হয় তাঁদের। জানা যাচ্ছে, সকাল ১০ টার পর থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত আবাসনের নীচের গেট বন্ধ থাকে। তাহলে ভর দুপুরে সুস্মিতাদের ঘরে আততায়ী ঢুকল কীভাবে?
তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ফ্ল্যাটের চাবির গোছা হাতে পাননি গোয়েন্দারা। আবাসনের মেন গেটে সব সময় তালা দেওয়া থাকে। যার ফ্ল্যাটের লোক আসে তিনি মেন গেটের তালা খুলে দেন। অর্থাৎ সেদিন বাড়ির কর্তা তপন মণ্ডলের বাড়িতে এসেছিল পরিচিত কেউ? ফলে তপনের স্ত্রী সুস্মিতা বা ছেলে তমোজিতই হয়তো গেটের তালা খুলে দিয়েছিল বা চাবির গোছা তাদের হাতে দিয়েছিল। এসব প্রশ্ন উঠে আসছে।