ডেস্ক: অবশেষে আদালতের রায়ে স্বস্তি রাজ্যের। নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট মেনেই হবে ভবানীপুরের উপনির্বাচন। অর্থাৎ ৩০ তারিখ ভবানীপুরে ভোট হতে কোনও বাধা নেই। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল ভোটে কোনও বাধা নেই। ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আইনি জটিলতায় জড়ায় এই প্রক্রিয়া। আদালতে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই এদিন এই রায় দেয় আদালত। তবে এই মামলায় নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, কমিশন এবং মুখ্যসচিবের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। মামলার পরবর্তী শুনানি ভোটের পর, ১৭ নভেম্বর।
ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে এই মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। ভোট বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন সেই কথা উল্লেখ করে। মামলাকারীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র কেন একটি কেন্দ্রেই নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই কমিশনের কাছে হলফনামা চায় হাইকোর্ট। তবে নির্বাচন কমিশনের জমা দেওয়া হলফনামায় সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। এরপরেই শুক্রবার রায়দান স্থগিত করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
চূড়ান্ত রায় দিতে গিয়ে বিচারপতিরা বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, মুখ্যসচিব কেন একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য বারবার আবেদন করছেন। তাঁদের মতে, রাজ্যের মুখ্যসচিব যে কোনও একটি কেন্দ্রের ‘সাংবিধানিক সংকটে’র কথা উল্লেখ করতে পারেন না। তাঁর নিজের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, গোটা দেশে ভোটে জিতে আসন অন্যের জন্য ছেড়ে দেওয়া বা নতুন করে ভোট করানোর পরিস্থিতি তৈরির প্রবণতা রয়েছে। এর জন্য সাধারণ মানুষের টাকা খরচ হচ্ছে। আদালতের প্রশ্ন, এমন ক্ষেত্রে নতুন করে ভোটের খরচ কেন জনগণের টাকায় হবে? আগামী দিনে বৃহত্তর স্বার্থে এই নিয়ে শুনানি হবে বলে জানায় কলকাতা হাইকোর্ট।