রামপুরহাটকাণ্ড: ‘বিজেপির রিপোর্ট CBI তদন্তে প্রভাব ফেলবে’, মন্তব্য মমতার

বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ড নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। যা নিয়ে স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দার্জিলিংয়ে দাঁড়িয়ে এই ইস্যুতেই বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর অভিযোগ, বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের ওই রিপোর্ট সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করবে। পাশাপাশি, বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস দলের এই রিপোর্টে বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, প্রমান ছাড়া এই ধরণের রিপোর্ট দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।

বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ শ্রী ব্রজলাল, সাংসদ সত্যপাল সিং এবং সাংসদ শ্রী কেসি রামমূর্তিকে নিয়ে গঠিত বিজেপির কেন্দ্রীয় দল বুধবারই বগটুই কাণ্ড নিয়ে তাঁদের রিপোর্ট জমা দেয় জে পি নাড্ডার কাছে। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে বাংলার আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করার পাশাপাশি ঘটনার দিন পুলিশকর্মী এবং এসডিপিও’র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের যোগ নিয়েও বলা হয়েছে।

এই রিপোর্ট নিয়েই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দার্জিলিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি ওদের রিপোর্ট দেখেছি। ওরা কোনও তদন্ত ছাড়াই কীভাবে জেলা তৃণমূল সভাপতির নাম বলল? কী করে জানছে কে ঘটনায় জড়িত? আসলে বিজেপি চায় ওকে গ্রেপ্তার করা হোক। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিজেপি নিজস্ব রিপোর্ট দিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এই রিপোর্ট প্রতিহিংসামূলক। বিজেপির আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও বিজেপির এই রিপোর্টকে ‘সারবত্তাহীন’ বলে কটাক্ষ করেন। যদিও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, এই রিপোর্ট বগটুই গ্রামের স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করা হয়েছে।

Related posts

পাশের হার ৯০ শতাংশ, উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ

তৃতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে অসম ও গোয়ায়

আজ পঁচিশে বৈশাখ, রবীন্দ্রজয়ন্তী উদ্‌যাপন