দিল্লির মাটিতেও হারবে বিজেপি পার্থ, ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’ ফিরহাদ, দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতার ভাষণ শুনতে এলেন পি চিদম্বরম

ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করতে চলেছে তৃণমূল। এবারের সভা শুধুমাত্র এই ‘শহিদ’দের শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশে নয়, বরং আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  গোটা দেশের নজর মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দেয় সেই দিকে। একাধিক রাজ্যে জায়ান্ট স্ক্রিন বসিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে শহিদ দিবস পালন।

দিল্লির সংবিধান ক্লাবে একাধিক দলের নেতা এসেছেন মমতার ভাষণ শুনতে। অকালি দল, আরজেডির সাংসদ ছাড়াও সেখানে এসেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। চিদম্বরমকে স্বাগত জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ফিরহাদ হাকিম: রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় শহিদ দিবস পালন তৃণমূলের। ফিরহাদ হাকিম বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংবিধান রক্ষার লড়াই চলবে। সর্বভারতী স্তরে দলকে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে ধর্মতলায় ফিরহাদ হাকিম স্লোগান তুললেন, ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’। তিনি বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মানুষকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমরা তাঁর সৈনিক। মানুষের জন্য সারাজীবন কাজ করে যাবে মা-মাটি-মানুষের সরকার।”


পার্থ চট্টোপাধ্যায়: উত্তরপ্রদেশ হোক, গুজরাত হোক, তামিলনাড়ু হোক কি ত্রিপুরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে সবাই অপেক্ষায়। বিজেপিকে হটাতে হবে। বাংলার বিশ্বাসযোগ্য মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলা থেকে আওয়াজ উঠবে, জনবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চাই। বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজকে সুখের দিন জাগো বাংলা আজ থেকে দৈনিক হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলতে চান, তা সবাই জানতে চান।

সুব্রত বক্সী: বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপিকে সরানো গিয়েছে। একুশে জুলাইয়ের মধ্যে দিয়েই এই দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।আজকের দিনটা আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করতে চাই।

আরও পড়ুন: ‘১৯৯৩-এর সেই যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি এখনও টাটকা’, টুইট অভিষেকের


কাকালি ঘোষ দস্তিদার: আহত বাঘ আরও বেশি হিংস্র। পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতে ২০১৪ থেকে অন্যায় চলছে। নরেন্দ্র মোদী সরকার আসার পর অত্যাচার চালাচ্ছে বিজেপি। জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ তৈরি করে ভারতকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করছে বিজেপি। ভারতের শ্রেষ্ঠ নেতা মমতা। ভারতবাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছে। 

সুখেন্দুশেখর রায়: অন্য রাজ্যে খেলা হবে হলে, দেশেরই মঙ্গল, লখনউয়ে বললেন সুখেন্দুশেখর রায়। বললেন, ২০২৪-এ ভাল ফল করতে গেলে ঘাঁটি গাড়তে হবে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে।

Related posts

উত্তরাখণ্ডে বন পোড়ানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত, ১৩৮৬ হেক্টর বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত, মৃত ৫

সন্দেশখালি নিয়ে স্লোগান উঠতেই মেজাজ হারালেন শুভেন্দু! অশালীন শব্দ বিরোধী দলনেতার

‘ ১০ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে কেশপুরে খুন হতে পারে’, বিস্ফোরক অভিযোগ দেবের