কলকাতা: হাইকোর্টে অস্বস্তি বাড়ল ববিতা সরকারের! মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার থেকে পাওয়া তাঁর ৪৩ মাসের বেতনের ১৫ লক্ষ টাকা ববিতাকে আলাদা অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মামলায় জয়ী হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে অঙ্কিতার পদে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। তাঁর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ বার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনামিকা রায় নামে আরেকজন। শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে ববিতা যে নম্বর পেয়েছেন, তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন অনামিকা। তাঁর দাবি, আসলে ববিতার নন, অঙ্কিতার জায়গায় চাকরি পাওয়ার কথা তাঁর। সেই মামলাতেই এবার ববিতাকে টাকা জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ববিতাকে বলে দিলেন, অঙ্কিতা অধিকারীর বেতনের যে টাকা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল, তা যেন ববিতা আলাদা করে সরিয়ে রাখেন। কারণ, ভবিষ্যতে তা ফেরত দিতেও হতে পারে। তবে এখনই ববিতার চাকরি নিয়ে আদালত কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। আগামী সোমবার, ৯ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, ববিতা ও অনামিকা, উভয়ের বিষয় ছিল রাষ্ট্রবিদ্যা, অনামিকা রায়ের র্যাঙ্ক ছিল ২১। ২৪ জুলাই মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতার চাকরি যায় আদালতের নির্দেশে। কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিবকে আদালতের তরফে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞেস করা হলে, তাঁরা জানান, ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩, তাঁর পাওয়ার কথা ৩১। মেধা তালিকা দেখে ববিতা ও কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন অনামিকা।
অভিযোগ, স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছিলেন ববিতা। যা শতকরা হিসাবে ৫৫ শতাংশ। কিন্তু আবেদনপত্রে স্নাতক স্তরের প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হিসাবে লেখা রয়েছে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বরের কথা। এর থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত।