ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যূর তদন্তভারও এবার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই খুনের ঘটনায় একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব। কিন্তু তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে।
এই ঘটনার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশের সিআইডি। পরে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার এই মামলার তদন্তভার সিআইডি-র হাত থেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
গত ১৩ মার্চ ‘খুন’ হয়েছিলেন ঝালদার সদ্য জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। দাবি, খুনের ঘটনার সময় কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণব। কিন্তু তপন কান্দু খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার দিনই নিজের বাড়িতে রহস্যজনকভাবে নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, দেহের পাশে মেলে একটা সুইসাইড নোটও।
কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের দাবি ছিল, নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যু অস্বাভাবিক নাকি খুন তা নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখা দরকার। এই নিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর তরফে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানানো হয়। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত জানায়, যেহেতু তপন কান্দু এবং নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুর মধ্যে লিঙ্ক রয়েছে, তাই এই মামলারও তদন্ত করবে সিবিআই।