ঘাটে ঘাটে ছটপুজো, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তা

কলকাতা: রবিবার এবং সোমবার গঙ্গার ঘাটে ঘাটে সূর্যের পুজো। পারিবারিক সুখ সমৃদ্ধি ও বাড়ির ছোটোদের মঙ্গলকামনায় ছটপুজো। যার জন্য কলকাতা তথা গোটা রাজ্যের প্রায় প্রতিটি ঘাটেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে গঙ্গাদূষণ রুখতে কৃত্রিম জলাশয়ও তৈরি হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।

প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, এই উৎসবে সূর্যই উপাস্য। সেই সঙ্গে পুজো হয় ছট্টি মাইয়ার। ছটলক্ষ্মীও বলা হয়। কথিত আছে, রামচন্দ্র লঙ্কা বিজয় করে ফিরে এসে, অযোধ্যায় পুজো করেন কুলদেবতা সূর্যের। ছটপুজোর সময়ই এই পুজো করা হয় বলে বিশ্বাস। কথিত আছে, সূর্যদেব ও ছটদেবী ভাই ও বোন। সেই কারণে ছট পুজোয় সূর্যের আরাধনা অত্যন্ত গুরুত্ব পায়। বলে রাখা ভালো, বাংলায় সূর্যষষ্ঠীকে বা ছটপুজোর ষষ্ঠীকে বলা হয় নাড়ীষষ্ঠী। অবাঙালিরা দেবী ষষ্ঠীকে বলেন ‘ছটি মাইয়া’।

এই পুজোর নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হয়, কলা, ফল, ক্ষীর, গুড়, মিষ্টি, ঠেকুয়া ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ছটপুজোর খাজুরিয়া খেতে ভালোবাসেন অনেকেই।

ও দিকে, ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবরে। তবে কেএমডিএ-র তরফে বিশেষ বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার থেকে সোমবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত শহরের একাধিক জলাশয়ে ছটপুজো করতে পারবেন ভক্তরা। ঘাটগুলিতে এই মর্মে টাঙানো হয়েছে বিকল্প জলাশয়ের তালিকা। গঙ্গার ঘাটগুলিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই ছটপুজো করতে পারবেন শহরবাসী।

এ ছাড়াও তৈরি হয়েছে ১৫টি কৃত্রিম জলাশয়। যেখানে সূর্যদেবতার উদ্দেশ্যে পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে চলবে নজরদারি। গোটা শহরে ১৭৩টি পুলিশ পিকেট তৈরি করা রয়েছে ছটপুজো উপলক্ষে।

কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা যদিও শনিবার জানিয়েছেন, এ দিন সন্ধ্যা থেকেই শহরের দখল নেবে ছটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনী। রবিবার, ছটের সন্ধ্যার আগেই পথে নামা এমন পুলিশকর্মীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় পাঁচ হাজার।

আরও পড়ুন: দু’বছর পর সিএবি-র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, সম্মানিত ঝুলন, সম্বরণ-সহ বিশিষ্টরা

Related posts

‘বেরিয়ে যেতে পারেন’, অধীরকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন খাড়্গে

কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা, মৃত ২

তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতির মধ্যেই বৃষ্টির সম্ভাবনা জেলায় জেলায়