ডেস্ক: ইয়াসের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আকাশপথে ঘূর্ণিঝড় এবং তার জেরে জলস্ফীতি হয়ে প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন মু্খ্যমন্ত্রী৷
বুধবার প্রথমে সাংবাদিক বৈঠক করে পূর্ব মেদিনীপুরে যাওয়ার কথা জানান তিনি। আগামী শুক্রবার হেলিকপ্টারে প্রথমে উত্তর চব্বিশ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখান থেকে তিনি যাবেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সাগরে৷ সবশেষে তিনি যাবেন পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায়৷ তাঁর সঙ্গে যাবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”শুক্রবার, ২৮ তারিখ ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় আকাশপথে পরিদর্শন করবেন মমতা। দুপুরে হেলিকপ্টারে হিঙ্গলগঞ্জ পৌঁছবেন। সন্দেশখালি, ধামাখালি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করবেন তিনি। এরপর হেলিকপ্টার যাবে সাগরে। সুন্দরবনের বন্যাবিধ্বস্ত এলাকাগুলি নিয়ে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যাবেন দিঘায়। পরেরদিন তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক। ২৯ তারিখ ফিরবেন কলকাতায়।”
জানা গিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নেওয়ার পাশাপাশি এবং কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্বাসন ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে তা নিয়ে সন্দেশখালির ধামাখালিতে রিভিউ মিটিং করবেন তিনি৷ এর পর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সাগরে পৌঁছেও একই ভাবে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি৷
আরও পড়ুন: নদী বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করল রাজ্য সরকার
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সমুদ্রের নোনা জল কৃষি জমিতে ঢুকে চাষের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এছাড়াও ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোটা রাজ্যে ১৩৪টি নদী বাঁধ ভেঙেছে৷ ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে পূর্ণিমার ভরা কোটালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়৷ এ দিন রাতে জোয়ারের সময় ফের একবার উপকূলবর্তী এলাকাগুলি নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, রামনগর, নন্দীগ্রাম এবং দুই চব্বিশ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা এবং সন্দেশখালিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি৷ তবে ক্ষয়ক্ষতির মোট হিসেব পেতে অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সবমিলিয়ে ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয় রাজ্য প্রশাসন৷ প্রাথমিক ভাবে ১০ কোটি টাকার ত্রাণ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷