ডেস্ক: আজ ২৬ মে, গোটা বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বুদ্ধ জয়ন্তী। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে এদিনই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বুদ্ধদেব। বুদ্ধ একজন আধ্যাত্মিক শিক্ষক ছিলেন যার শিক্ষায় বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বৈদিক সাহিত্য অনুসারে, ভগবান বুদ্ধ হলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার এবং তিনি এই পৃথিবীতে সমস্ত জীবের প্রতি অহিংসা ও করুণার বার্তা শেখাতেই এসেছিলেন। কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষ একে অপরের কাছ থেকে ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছে। ভাটা পড়েছে আমাদের আনন্দ উৎসবে। কিন্ত আমরা থেমে নেই। নতুন করে বাঁচার রসদ খুঁজি প্রতিনিয়ত।আর সেই পথে হেঁটে মহামারীতে কোভিড যোদ্ধা ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালো ইউনাইটেড বুদ্ধিস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন।
কোভিড কারণে সরকারী বিধিনিষেধ, অন্যদিকে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের অশনীসংকেতের মধ্যে বৌদ্ধরা সামাজিক সেবাকাজের মাধ্যমে বুদ্ধ পুজোর নৈবেদ্য নিবেদন করেন। দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ সম্বোধি বুদ্ধ বিহারে দিনটি পালিত হল কোভিড এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ কমাতে বুদ্ধ পূর্ণিমার পুরোলগ্ন পর্যন্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু্র ত্রিপিটক পাঠ করেন।
এর পাশাপাশি, এম. আর. বাঙুর হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের পিপিই কিট, পুলিশদের কোভিড সংক্রমণ এড়াতে রিজেন্ট পার্ক থানার সকলকে উপহার সামগ্রী, ৩০০ জন গরীব মানুষকে মার্ক্স, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড, ও কিছু খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়ে।
ইউনাইটেড বুদ্ধিস্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের ২৫৬৫ তম বুদ্ধ পূর্ণিমা কমিটির প্রধান আহ্বায়ক ডক্টর অরুণজ্যোতি ভিক্ষু জানান, ২০১৭ সাল থেকে ধর্মতলার রাণী রাসমণি রোডে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড় ও সমতলের বৌদ্ধরা বড় অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রতিবছর দিনটি পালন করেন। কিন্তু কোভিদ কারণে প্রত্যেক বৌদ্ধ সংগঠন বুদ্ধ পূজার অর্থ দিয়ে সমাজ সেবার মাধ্যমে ভগবান বুদ্ধের পবিত্র জন্মদিন পালন করছেন।
আলিপুর অশোক বিহার, উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির বুদ্ধ ভারতী, বা আলিপুরদুয়ার হ্যামিল্টনগঞ্জ পুণ্যজ্যোতি বুদ্ধ বিহার সহ অনেক বুদ্ধ মন্দিরে ভক্তদের পায়সান্ন বিতরনের মাধ্যমে উদযাপন করেন।
আবার মধ্য কলকাতার ধর্মাংকুর সভা, আনন্দপালিত বিদর্শন শিক্ষা কেন্দ্র সহ অনেক বৌদ্ধরা ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বুদ্ধ জীবন ও আদর্শ আলোচনা করেন।
জাতিসংঘের ইউনেস্কো ১৯৯৯ সাল থেকে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনটিকে ‘বেশাখ ডে’ হিসেবে পালন করে আসছে। পশ্চিমবঙ্গে এইদিনে সরকারী ছুটি থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার বুদ্ধ পূর্ণিমাকে এন.আই. এক্ট এ সরকারি দাবী জানান পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের আমন্ত্রিত সদস্য ডক্টর ভিক্ষু।