ওয়েবডেস্ক : জারি প্রতিবাদ। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজপথে ই-স্কুটারে চালকের আসনে স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! বিরল এই ছবি তৈরি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরনে সাদা শাড়ি, মাথায় নীল হেলমেট পরে ইলেকট্রিক স্কুটারে নিজেই চড়ে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল ট্যাক্স পেরিয়ে বেশ খানিকটা রাস্তা ওভাবেই মমতার স্কুটারের চাকা গড়ায়। মাঝপথে চালকের আসনে বসেন ফিরহাদ হাকিম।
এসএসকেএমের সামনে থেকে হাজরা পর্যন্ত আবার স্কুটার চালালেন মুখ্যমন্ত্রী।থমকে গেল চারপাশ। সকলের দৃষ্টি তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই।
আরও পড়ুন : ই-স্কুটারে নবান্নে পৌঁছেই মোদীকে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার
জ্বালানি জ্বালায় বিপাকে পড়া জনতার পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের সুর চড়াতে রাতারাতিই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে বৃহস্পতিবার গাড়িতে নয়, তিনি নবান্ন যাবেন ই-স্কুটারে চড়ে।
সেইমতো এদিন বেলা ১১টা নাগাদ হাজরা মোড় থেকে ইলেকট্রিক স্কুটারে চড়ে মমতা পৌঁছন নবান্নে।
চালকের আসনে ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। আর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ছিল প্রতিবাদী সব পোস্টার। এই দৃশ্যেই যথেষ্ট চমকে গিয়েছিলেন পথচারীরা। বিকেলে অবশ্য আরও একপ্রস্ত চমক বাকি ছিল তাঁদের জন্য।
দিনশেষে নবান্ন থেকে বেরিয়ে তিনি নিজেই চড়ে বসলেন ইলেকট্রিক স্কুটারে।
তাঁকে স্কুটার চালাতে সাহায্য করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পাশে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সন্ধে প্রায় ৬ নাগাদ কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছেও প্রতিবাদের স্বর এতটুকুও কমাননি মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, জ্বালানির দাম এতটা বাড়িয়ে দিয়েছে, লোকজন কীভাবে যাতায়াত করবে?
এই দাম অবিলম্বে কমাতে হবে। যে দাম ৮০০ টাকায় চড়িয়েছে, তা ৪০০এ নামাতে হবে। নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। মানুষ একবার আন্দোলন শুরু করলে, তখন সিবিআই দেখিয়েও লাভ নেই।