প্রথম পাতা খবর মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, জল ছাড়ার পরিমাণ কমাল ডিভিসি, প্রত্যাহার লাল সতর্কতা

মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, জল ছাড়ার পরিমাণ কমাল ডিভিসি, প্রত্যাহার লাল সতর্কতা

268 views
A+A-
Reset

আসানসোল: দামোদর এবং বরাকর উপত্যকা এলাকায় গত ৪৮ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত না হওয়ার ফলে দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিটি (ডিভিআরআরসি) মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ডিভিআরআরসি জানায়, এই দুই জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে ১ লক্ষ কিউসেকের নিচে। এর ফলে, লাল সতর্কতাও তুলে নেওয়া হয়েছে।

ডিভিআরআরসির মেম্বার সেক্রেটারি শশী রাকেশ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে মাইথন থেকে ১০ হাজার এবং পাঞ্চেত থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বেলা এগারোটার পর এই পরিমাণ আরও কমিয়ে ৬০ হাজার কিউসেকে নামানো হয়, যার মধ্যে পাঞ্চেত থেকে ৫০ হাজার এবং মাইথন থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পরে মাইথনের জলস্তর ছিল ৪৯০.৭০ একর ফুট, যা বিপদসীমার (৪৯৫ একর ফুট) নিচে। পাঞ্চেতের জলস্তরও ৪২১.২০ একর ফুটে নেমে এসেছে, বিপদসীমা ৪২৫ একর ফুট থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, মঙ্গলবার দুই জলাধারের জলস্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল।

ডিভিআরআরসি জানায়, বৃহস্পতিবার তেনুঘাট থেকে পাঞ্চেতে ৬০ হাজার কিউসেক জল প্রবেশ করেছে। এদিনের ঘোষণায় জানানো হয় যে, এখন পর্যন্ত মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে প্রায় ৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যেখানে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ২.৫০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। এরপর, জলছাড়ের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে বৃহস্পতিবার ১ লক্ষ কিউসেকের নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।

ডিভিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান জল ছাড়ের পরিমাণ ডিভিআরআরসির নির্দেশ অনুযায়ী। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারণ দামোদর এবং বরাকর উপত্যকা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমেছে। আঞ্জনিকুমার দুবে, ডিভিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (সিভিল), জানিয়েছেন, বৃষ্টির মাত্রা কমে যাওয়ায় জলাধার থেকে নিয়ন্ত্রিতভাবে জল ছাড়া হচ্ছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি নিজে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন, ডিভিসির জলছাড়ের জন্য এই পরিস্থিতিকে দায়ী করে ডিভিসিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “ডিভিসির এই অকার্যকারিতার জন্যই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে রাজ্য সরকার ডিভিসির কার্যকলাপ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে।” ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা নিয়েও কড়া বার্তা দেন মমতা। তিন দিনের জন্য ঝাড়খণ্ড সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ডিভিসিকে জলছাড় কমানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল, কিন্তু জলাধারের স্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় মঙ্গলবার সেই অনুরোধ মানা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে বৃষ্টির মাত্রা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ডিভিআরআরসি জানায়, এই দুই জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে ১ লক্ষ কিউসেকের নিচে। এর ফলে, রেড অ্যালার্টও তুলে নেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, দুপুরের পরে মাইথনের জলস্তর ছিল ৪৯০.৭০ একর ফুট, যা বিপদসীমার (৪৯৫ একর ফুট) নিচে। পাঞ্চেতের জলস্তরও ৪২১.২০ একর ফুটে নেমে এসেছে, বিপদসীমা ৪২৫ একর ফুট থাকায় তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, মঙ্গলবার দুই জলাধারের জলস্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছিল।

ডিভিআরআরসি জানায়, বৃহস্পতিবার তেনুঘাট থেকে পাঞ্চেতে ৬০ হাজার কিউসেক জল প্রবেশ করেছে। এদিনের ঘোষণায় জানানো হয় যে, এখন পর্যন্ত মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে প্রায় ৬ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যেখানে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ২.৫০ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। এরপর, জলছাড়ের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে বৃহস্পতিবার ১ লক্ষ কিউসেকের নিচে নামিয়ে আনা হয়েছে।

ডিভিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান জল ছাড়ের পরিমাণ ডিভিআরআরসির নির্দেশ অনুযায়ী। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারণ দামোদর এবং বরাকর উপত্যকা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমেছে। আঞ্জনিকুমার দুবে, ডিভিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (সিভিল), জানিয়েছেন, বৃষ্টির মাত্রা কমে যাওয়ায় জলাধার থেকে নিয়ন্ত্রিতভাবে জল ছাড়া হচ্ছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি নিজে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন, ডিভিসির জলছাড়ের জন্য এই পরিস্থিতিকে দায়ী করে ডিভিসিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “ডিভিসির এই অকার্যকারিতার জন্যই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে রাজ্য সরকার ডিভিসির কার্যকলাপ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে।” তবে ডিভিসির পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের বিষয়ে কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

উল্লেখযোগ্যভাবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ডিভিসিকে জলছাড় কমানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল, কিন্তু জলাধারের স্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় মঙ্গলবার সেই অনুরোধ মানা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে বৃষ্টির মাত্রা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আসানসোল শহরে গত দুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় আকাশ পরিষ্কার রয়েছে, যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.