ডেস্ক: রবিবারই নন্দীগ্রামে পা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। আজ ৮ কিলোমিটার রাস্তা হুইলচেয়ারে চড়েই রোড শো তৃণমূলনেত্রী। নন্দীগ্রামের ঠাকুরচক থেকে নাম না করেই অধিকারীদের একের পর এক নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিপিএম, আমি ঠিক জানি না, আপনারা বলুন। বাকি আন্দোলকারীদের মামলাও আমরা স্থগিত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু গদ্দার বাবুর বিরুদ্ধে কোনও মামলা করেনি।
ও নিজেই সিপিএমকে ডেকে নিয়ে এসেছিল। “সেদিন ওরা সিপিএমকে ডেকে এনেছিল, পুলিশকে ডেকে এনেছিল । সিপিএমের ক্যাডাররা পুলিশের ড্রেস পরে গুলি চালিয়েছিল। আজও তাই করছে। পুলিশের ড্রেস কিনে ক্যাডারদের সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাবে, বলবে বিজেপিকো ভোট দো।”
পাশাপাশি মমতা এদিন আরও বলেন, “যাঁরা সেদিন খুন করল, সিপিআইএমের হার্মাদ, তাঁরা আজকে বিজেপিতে । আর গদ্দার তাদের নেতা। যারা গণহত্যা করল, তাদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ল!” একইসঙ্গে এবার ভোটেও বিজেপি পুলিসের পোশাক পরে ভয় দেখাবে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “ভোটের দিন ভয় দেখাবে বিজেপি। পুলিসের পোশাক পরে ভয় দেখাবে। আমার কাছে খবর আছে বিজেপি পুলিসের পোশাক কিনেছে। ওরা ভয় দেখাবে, গ্রাম থেকে বেরতে দেবে না। ভয় পাবেন না।”
জানুয়ারি মাসে আমি যখন এসেছিলাম, বললাম কী আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়াব, চ্যাংড়ামো মেরে। সবাই দেখলাম নাচতে শুরু করল। ভাবলাম, বেশ মানুষ যখন চায়। পরে শুনছি বলছে, উনি মিথ্যা কথা বলেছেন। উনি দাঁড়াবেন না। উনি দু’টো জায়গা থেকে দাঁড়াবেন। আরে আমি কথা দিলে কথা রাখি। দাঁড়াব এখানে, জিতব এখানে, লড়ব এখানে, সরকার গড়ব এখানে।
আরও পড়ুন: ৩০ মার্চ পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে ছত্রধর
বহিরাগত ইস্যুতে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। শেষবেলার প্রচারে নন্দীগ্রামের ভোটারদের মনে করিয়ে দিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতলে আবার ফিরে যাবেন।’
আমি সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম নিয়ে ২৬ দিন ধরে অনশন করেছি। আন্দোলনকে জয়ী করিয়েছি। বাংলা, বাংলার সংস্কৃতিকে লুঠ করতে দেবেন না। ১ এপ্রিল ভোট আমিও লড়ছি, ইভিএমে আমার চিহ্ন ২ নম্বরে থাকবে। বিজেপি টাকা দিলে খরচ করবেন, বিজেপির কথা শুনে কাজ করবেন না। সবাই মাস্ক পরে ভোটকেন্দ্রে যাবেন।