ডেস্ক: ভোট মিটতেই গ্রেফতার ছত্রধর মাহাত। রাজধানী এক্সপ্রেস মামলায় এই গ্রেফতারি বলে এনআইএ সূত্রে খবর। ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ৩০ মার্চ পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিল ছত্রধরকে।
রবিবার সকালে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় তদন্তকারীদের ৩০ জনের একটি দল। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এনআইএ স্পেশাল কোর্ট বন্ধ থাকায় ছত্রধরকে পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। সেখানেই আদালত ছত্রধরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আদালতে তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে ক্ষোভের কথা বলেন ছত্রধর। তিনি বিচারককে বলেন, “হাত ফুলে গিয়েছে। ভাইজি, মা, স্ত্রীকে মেরেছে।” নিজের হাত দেখিয়ে বিচারকের কাছে তিনি দাবি করেন, মারের চোটে হাত ফুলে গিয়েছে।
এনআইএ-র বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ছত্রধরের। গ্রেফতারের সময় ধস্তাধস্তিতে আহত এক কনস্টেবল। ছত্রধরের স্ত্রী অ্যারেস্ট মেমো প্রত্যাখ্যান করেন, দাবি এনআইএ-র।
আরও পড়ুন: হুইলচেয়ারে চড়েই নন্দীগ্রামে প্রচারে মমতা
ছত্রধরের গ্রেফতারির বিরোধিতা করে তাঁর আইনজীবী কৌশিক সিনহা বলেন, “কেন এই গ্রেফতারি তার যথাযথ কোনও কারণ ছত্রধরের পরিবারকে জানানো হয়নি। হঠাৎই ভোররাতে এনআইএ-এর একটি দল এসে তাঁকে নিয়ে যায়। সবথেকে দুঃখজনক কেন এই গ্রেফতার সেটাই তাঁর পরিবারকে জানানো হল না। নতুন করে কোনও মামলা দায়ের হল কি না সেটা দেখতে হবে। কারণ ছত্রধরের বিরুদ্ধে কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই।”
এতদিন পর, ভোটের মুখে কেন গ্রেফতার ছত্রধর মাহাতো? নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে, মন্তব্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের।