ঘণ্টায় প্রায় ৯০ কিমি গতিবেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আগামী সোমবার সেটি আরও জোরালো ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তাই আপাতত জল্পনা এবং আশঙ্কা দুই নিয়েই অপেক্ষা করছে মানুষ। কারণ ইতিমধ্যে বারবার জানান দেওয়া হয়েছে, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়।
শনিবার সকালেও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর এর ওপর অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড় বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু ক্রমেই বদল হচ্ছে স্থান। নিম্নচাপের গতিবিধির দিকে খেয়াল রেখে মনে করা হয়েছে, আপাতত দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগ এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর অবস্থান করতে পারে নিম্নচাপ। আর তা হলে আগামী রবিবার অর্থাত্ ২০ তারিখ সকালের দিকেই আন্দামান ও নিকোবরের ওপর গভীর নিম্নচাপের তৈরি করবে। ওইদিন আন্দামান নিকোবর এর অধিকাংশ জায়গায় বজ্র বিদ্যুত্ সহ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হয়েছে। এরপর এই ঘূর্ণিঝড় যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ ও উত্তর মায়ানমারের দিকে।
শুক্রবার ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে পূর্ব ও উত্তর পূর্ব দিকে। শুক্রবার সকালের দিকেও এই নিম্নচাপ অবস্থান করছিল ভিন্ন জায়গায়।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একই সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। যদিও পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ে বিশাল কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে মৌসম ভবন, তবুও মনে করা হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার বড় অংশজুড়ে হতে পারে ভালোমতো বৃষ্টিপাত।
কিছু জায়গায় অতিভারি বৃষ্টির আশঙ্কাও করা হয়েছে। তার আগে ১৯ তারিখেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এবং ২০ তারিখের পরেও এর রেশ থেকে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।