সোমবার থেকে একটানা লড়াই। থামল মঙ্গলবার। এ দিন সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেল ছ’বছরের শিশু। তার বাবা-মাও হাসপাতালে ভর্তি।
সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর মোট ৩৭ জন ভর্তি হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। আর আশঙ্কাজনক ছিল ছ’বছরের ওই শিশুকন্যা। তার নাম স্নেহা মণ্ডল। মালদহের বাসিন্দা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ছিল তার। গতকাল থেকে তার শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলছিল শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্য কর্তা চিকিৎসক সন্দীপ সেন বলেন, “পায়ে আঘাত থাকার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কালকে থেকেই মেডিক্যাল টিম অস্ত্রপচার করে বাচ্চাটির রক্তক্ষরণ বন্ধের চেষ্টা করে। পিকুতে ভর্তি ছিল। আজ সকালে তাকে হারিয়েছি আমরা।”
সোমবার বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মালগাড়ির ধাক্কায় ট্রেনের একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হ। বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১১।