করোনার আবহে দুর্গাপুজো, জেনে নিন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের নির্দেশিকা

ডেস্ক: গুনে গুনে ক্যালেন্ডারে বাকি আর মাত্র ৫০ দিন। বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবে প্রস্তুতির সলতে পাকানো শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনার আবহে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব কড়া নাড়ছে দরজায়। এবারও দুর্গোৎসব হচ্ছে করোনা আবহে। ফলে নানা বিষয় মাথায় রেখেই একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। ফেস্টিভিটির মধ্যেই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেদিকেই চোখ এই সংগঠনের।


মুখে মাস্ক এবং হাতে স্যানিটাইজার নিয়েই করোনাকে কড়া ট্যাকেল করতে হবে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব চাইছে রাতের বদলে দিনেই ফাঁকায় ফাঁকায় প্রতিমা দর্শন সেরে নিক দর্শনার্থীরা। সেভাবেই হয়েছে গাইডলাইন। গতবছর থেকেই পুজোর আনন্দ ভার্চুয়ালি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বহু আয়োজক। সন্ধিপুজো থেকে অষ্টমীর অঞ্জলি, সবটাই অনলাইনে দেখানোর চেষ্টায় রয়েছে বহু পুজো কমিটি। গোটা বিশ্ব জুড়ে বাঙালির কাছে পুজোর সুবাস ছড়িয়ে দেওয়ার এটাই সেরা রাস্তা। এ ব্যাপারে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফেও কমিটিগুলোকে ইতিমধ্যেই বেশকিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে করোনা টিকার প্রথম ডোজ না নেওয়া থাকলে মণ্ডপে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। এমনকী এও বলা হয়েছে যে, পুজো কমিটির সদস্যদের করোনা টিকার জোড়া ডোজ আবশ্যক।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করলেই দেওয়া হচ্ছে পোলিয়ো প্রতিষেধক


পুজো সংগঠকদের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যথাসম্ভব খোলামেলা মণ্ডপ করতে হবে। যাতে বাইরে থেকে ঠাকুর দেখা যায়। প্যান্ডেলের প্রবেশপথ ব্যারিকেড দিয়ে যথাসম্ভব দীর্ঘ করতে হবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে।দর্শকদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দর্শকদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।


এছাড়াও বলা হয়েছে, ঠাকুরের ভোগে কাটা ফল দেওয়া যাবে না। পুষ্পাঞ্জলি ও সন্ধিপুজোর মতো অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়েও সীমিত সংখ্যক সদস্যদের নিতে হবে। এক্ষেত্রেও পুজো কমিটিকেই নজর রাখতে হবে।

Related posts

ফের তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, শুক্রবার কোন কোন জেলায় হাঁসফাঁস অবস্থা

মুকুল রায়ের বাড়িতে অধীর চৌধুরী! কী এমন ঘটল?

মালদহে বজ্রপাতে মৃত অন্তত ১১, দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা