রান্নার তেলে স্বস্তি, দাম কমানোর নির্দেশ কেন্দ্রের

ভোজ্যতেলের দামে স্বস্তি মিলতে পারে শীঘ্রই। খাদ্য সরবরাহ ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক ভোজ্যতেল উৎপাদক সংস্থাগুলিকে রান্নার তেলের দাম কমাতে বলেছে। মন্ত্রক বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও খুচরো বাজারে প্যাকেটজাত খাবারের দামের মতো তেলের দাম কমানো হয়নি।

সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের ভোজ্য তেলের এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য) কমাতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়া যায়। কেন্দ্র মনে করে, এখন অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অনেক বেশি। খাদ্য মন্ত্রক বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পাম তেল, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম ব্যাপক ভাবে কমেছে। চলতি মরশুমে সরষে, চিনাবাদাম ও সয়াবিনের উৎপাদনে ব্যাপক বৃদ্ধি দেখা গেছে।

ভারত পাম তেলের একটি প্রধান আমদানিকারক দেশ। ভারত নিজে ভোজ্য তেল খরচের ৫৬ শতাংশ আমদানি করে। গত এক বছরে, মুম্বইতে পাম তেলের আমদানি মূল্য ৪৪ শতাংশ কমেছে। যেখানে এক বছর আগে দাম ছিল ১,৭৯১ ডলার প্রতি টন, এখন তা নেমে এসেছে ১,০০০ ডলারে। অপরিশোধিত সয়া ও সূর্যমুখী তেলের দামও গত এক বছরে ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ কমেছে।

ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২০২২ সালের ২ মে প্রতি কেজি চিনাবাদাম তেলের দামের ছিল ১৮৫.৪৬ টাকা, যা এক বছর পরে প্রতি কেজি ১৮৯.৯৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্যাকেটজাত সরষের তেল এক বছর আগে পাওয়া যেত ১৮৪.৯৫ টাকা প্রতি কেজি, যা এখন প্রতি কেজি ১৫১.২৬ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্যাকড পাম তেল এক বছর আগে প্রতি কেজি ১৫৭.৬৯ টাকায় পাওয়া যেত, যা এখন প্রতি কেজি ১১০.৪৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সূর্যমুখী তেল প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় বিক্রি হতো এক বছর আগে, যা এখন পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১৪৫.১২ টাকায়।

পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে, ভোজ্যতেলের দাম কমলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে দাম কমেছে, সেই অনুপাতে মোটেই কমেনি। যে কারণে ভোজ্যতেল উৎপাদক এবং বিপণনকারী সংস্থাগুলিকে খুচরো বাজারে দাম কমাতে বলেছে কেন্দ্র।

Related posts

আজ ঝাড়গ্রাম ও ঘাটালে নির্বাচনী জনসভা, খড়্গপুরে রোড-শো মমতার

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পদত্যাগের দাবি, রাজভবন ঘেরাও তৃণমূল শিক্ষা সেলের

ফের তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, শুক্রবার কোন কোন জেলায় হাঁসফাঁস অবস্থা