ওয়েবডেস্ক : দেশব্যপী আজ চলছে কৃষকদের ডাকে চাক্কা জ্যাম। তবে এবার হিংসা রুখতে বেশি সতর্ক দু-পক্ষই। ২৬ জানুয়ারি রাজধানীতে যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন।
আর তাই দিল্লির বিভিন্ন সীমান্ত ঘেরাও করা হয়েছে ব্যারিকেড ও কাঁটাতারে। এমনকী লাল কেল্লায় ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত চাক্কা জাম-এর ডাক দিয়েছে একাধিক কৃষক সংগঠন। কৃষকদের ডাকে ফের অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লি পুলিশ।
বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থলে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও সিআরপিএফ। কৃষক আন্দোলন ঘিরে আবার কোনও রকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেদিকে কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : ফের ২৫টাকা বাড়ল ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দাম, রেকর্ড উচ্চতায় পেট্রোল-ডিজেল
দিল্লি পুলিশ, প্যারা মিলিটারি ও রিজার্ভ ফোর্সের ৫০ হাজার কর্মী দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। মোট ১২টি মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ওইসব মেট্রো স্টেশনের প্রতিটি গেটে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
আজ দিল্লির শাহিদি পার্কের সামনে বাম সংগঠনগুলি একটি সভার ডাক দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেই সভা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে সেই সভা হলে দলে দলে কৃষকদের যোগদানের সম্ভাবনা ছিল। ফলে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে।
সেই আশঙ্কায় সভা বাতিলের নির্দেশ। ২৬ জানুয়ারি হিংসার ঘটনার পর ৩০০-র বেশি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে নজর রেখেছে দিল্লি পুলিশ সাইবার বিভাগ। চাক্কা জ্যাম নিয়ে যাতে নতুন করে কোনও উত্তেজনা সৃষ্টিকারী পোস্ট না হয় সেদিকেই খেয়াল রাখছে প্রশাসন।