ডেস্ক: নারদ মামলায় চার হেভিওয়েটকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জামিনের পক্ষে ছিলেন না। তাই তাঁর নির্দেশে প্রত্যেককেই গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের।
জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও থাকতে হবে গৃহবন্দি অবস্থায়।৪ জনকে থাকতে হবে গৃহবন্দি অবস্থায়। নতুন বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত থাকতে হবে গৃহবন্দি অবস্থায়।
জেল হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেও ৪ জনকেই থাকতে হবে গৃহবন্দি অবস্থায়। নতুন বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত থাকতে হবে গৃহবন্দি অবস্থায়। চিকিৎসা সংক্রান্ত সব সুবিধা তাঁরা পাবেন। পরিবর্তে, মামলায় তাঁদের সিবিআইকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে।
‘এরা যা কিছু করতে পারে। মামলা খুবই গম্ভীর। চারজনকে হাউস এরেস্ট করা হোক।’ শুনানির শুরুতে এমনটাই বললেন সিবিআই-এর পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা। শুরুতেই সিবিআই প্রভাবশালী তত্ত্বে জোর দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁর দাবি, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে দিলে মামলা প্রভাবিত করতে পারেন নেতারা।
অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন, ‘এরা কেউ মন্ত্রী, কেউ বিধায়ক, কোথাও যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাহলে কেন গ্রেফতার?’ তবে সিবিআই-এর গৃহবন্দি করার সওয়ালে তিনি দাবি করেন যাতে স্বাধীনতার বিষয়টাতে নজর দেওয়া হয়। গৃহবন্দি করা হলে অভিযুক্তদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ফের চার হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫
আদালতে সিঙ্ঘভি বলেন, ‘পুরসভায় না যেতে পারলে ফিরহাদ হাকিম কী করে লড়বেন? কোভিডের বিরুদ্ধে কী করে লড়বেন ফিরহাদ হাকিম? পুরসভায় না গেলে কী করে হবে লড়াই? ফিরহাদ সই করতে না পারলে কী করে হবে লড়াই?’
এই যুক্তি দেখিয়ে সিঙ্ঘভি আবেদন করেন, ‘গৃহবন্দি নয়, অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হোক।’ অন্যদিকে, মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি চাইলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে শনি-রবিবার শুনানির আর্জি করেন কল্যাণ। সিঙ্ঘভি আবেদন করেন, ‘যত দ্রুত, সম্ভব হলে আজকেই নতুন বেঞ্চ গঠন হোক।’