কলকাতা: একুশের ভোটে ‘আসলি পরিবর্তনের’ স্বপ্ন দেখিয়ে পশ্চিমবাংলায় গো-হারান হারতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। ২০০ আসনের দাবি তুলে একশোও ছুঁতে পারেননি তাঁরা। ভোটের ফল বেরোনোর পরই প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। টুইট করে শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রীর মতো তারকাদের টিকিট দেওয়া নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও ‘ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম’-এর ওপর যাবতীয় রোষ উগরে দিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
কী কারণে দলের এমন ভরাডুবি হল, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে গেরুয়া শিবির। এবার বিজোপির বড় বিপর্যয় বাংলায়। আর সেই ভরাডুবির মধ্যেই সেই নিজস্ব ভঙ্গিমাতে ‘হেরে ভূত’ সেই বিজেপির অভিনেত্রী প্রার্থীদের নিশানা করলেন তথাগত রায়। একেবারে বিস্ফোরক পোস্ট।
মঙ্গলবার তথাগত টুইট করে বলেন, ‘পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি?’
দোলের দিন গঙ্গাবক্ষে লঞ্চে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের সঙ্গে আনন্দে মাততে দেখা গিয়েছিল বিজেপির তিন তারকা প্রার্থী শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রী চক্রবর্তীদের। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় তখনও পায়েল-শ্রাবন্তীদের তুলোধনা করেছিলেন তথাগত। টুইটে লিখেছিলেন, ‘নগরীর নটী চলে অভিসারে যৌবনমত্তা’! এই নটীদের এখনও এই বোধ হয়নি যে রাজনীতিটা অভিসার নয়৷‘
আরও পড়ুন : ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ রাজ্যপাল, ধনকড়ের ফোন মোদীর
এদিকে তথাগত রায়ের এই পোস্টকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল বিজেপির অন্দরমহলে। তবে ওই অভিনেত্রীদের একাংশ এব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তথাগতকে পালটা নিশানা করে বিজেপি নেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তীর দাবি, তাঁর কাছে কী কোনও প্রমাণ আছে? আমি পালানোর রাজনীতি করি না, মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।