আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি রাখার অভিযোগে রাজ্যের ১৭ জন সাংসদ, বিধায়কের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল হাই কোর্ট। যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, সেই তালিকায় অধিকাংশ বিজেপি সাংসদ বিধায়ক এবং বাকি বামফ্রন্টের।
এ দিন যাঁদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে, তাঁরা হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, শিশির কুমার অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, মনোজ কুমার ওঁরাও, আব্দুল মান্নান, মিহির গোস্বামী, অগ্নিমিত্রা পাল, শমীক ভট্টাচার্য, তন্ময় ভট্টাচার্য, শীলভদ্র দত্ত, বিশ্বজিৎ সিনহা, অনুপম হজরা, মহম্মদ সেলিম, জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন সুজিত গুপ্ত। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে মামলাকারীর দাবি, ২০০৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে শুভেন্দুর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৮৫৪ শতাংশ। আর স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ১২৮ শতাংশ। দিব্যেন্দুরও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে যথাক্রমে ৫৮ শতাংশ ও ৩৪৩ শতাংশ। তালিকায় সব চেয়ে বেশি চোখের পড়ার মতো শিশিরের সম্পত্তি বৃদ্ধি। ২০০৬-২০১৯, ওই ১৩ বছরের কাঁথির তৃণমূল সাংসদের অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৩৫৬৮ শতাংশ। আর স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৬২১৩ শতাংশ। শুধু তাই নয়, ওই একই সময়ে তাঁর স্ত্রীর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে যথাক্রমে ৩০০ শতাংশ এবং ১৭৩৮ শতাংশ। দিলীপের অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৩৭১১ শতাংশ। আবার সৌমিত্রের স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৫৪৭ শতাংশ। জিতেন্দ্র তিওয়ারির অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৫৮২৩ শতাংশ।