কোভিড বিধি মেনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হোটেল ও রেস্তোরাঁ খোলা যাবে , ঘোষণা মমতার

ডেস্ক: সমস্ত কোভিড বিধি মেনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হোটেল ও রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে। তবে কর্মীদের আগে টিকা দিতে হবে। বৃহস্পতিবার বণিক সভার সঙ্গে বৈঠকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ২৯ টি বনিক সংগঠন নিয়ে বৈঠক করেন মমতা। এরপরেই তিনি জানান, উপযুক্ত স্যানিটাইজেশন করে এবার খোলা হবে হোটেলগুলি। তবে এই ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু নিয়মের কড়াকড়িও জানিয়ে দেন মমতা। বেঁধে দেন হোটেল খোলা রাখার সময়সীমাও।


বিকেল পাঁচটা থেকে আটটা হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, “হোটেল বন্ধ থাকুক এমন আমরা চাই না। সমস্ত হোটেল কর্মীকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। আর সেই কাজে রাজ্য বণিক সংস্থাগুলোর সাহায্য চাইছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, সমস্ত করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ মেনেই একমাত্র হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে। করোনা বিধি নিষেধ পালনে কোনও খামতি রাখা যাবে না বলেই স্পষ্ট জানিতে দেন মমতা।


প্রতিনিধি বলেন,”ম্যাডাম আমাদের ৫টার পরে ব্যবসা হয়। যদি ৫টা থেকে ৯টা করে দিতে পারেন।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,”৫ থেকে ৮টা করে দাও। তাঁদের দূরত্ববিধি, মাথায় টুপি ও হাতে গ্লাভস পরে কাজ করতে হবে। ওঁরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে। তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।” 
যদিও কবে থেকে সেটা খোলা যাবে তা এখনও জানানো হয়নি। বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্তের কথা মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে জানান মমতা। ফলে শীঘ্রই রাজ্য সরকারের তরফে এই মর্মে নির্দেশ জারি করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


বণিক সভার বৈঠকে বিষয়টির উত্থাপন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে হোটেল, রেস্তোরাঁর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ কর্মচারী রয়েছেন যারা এই মুহূর্তে প্রচণ্ড সমস্যার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন। অনুযোগের সুরে এমনটা মমতাকে জানানোর পর তিনি ৩ ঘণ্টার জন্য রেস্তোরাঁ খোলার বিষয়ে ছাড়পত্র দেন।


মমতা এদিনের বৈঠকের পর বণিক সংগঠনগুলিকে দ্রুত হাট-বাজার স্যানিটাইজড করার নির্দেশ দেন। বেশি মানুষ যাতে জমায়েত করতে না পারে সে কথা মাথায় রাখতে হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেছি। তাঁদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই লকডাউন বা কারফিউ জারি করিনি এই রাজ্যে।”

শপিং মলও খোলা


এর পাশাপাশি আগামী সময়ে শপিং মলও খোলার ঘোষণা করেন মমতা। তবে এ ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ বলবৎ থাকছে। মাত্র ২৫ শতাংশ গ্রাহকদের শপিং মলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে যাতে কোনওভাবে জমায়েত না হয়। ১৬ জুন থেকে এই ছাড় দেওয়া হতে পারে ইঙ্গিত দেন তিনি। কর্মীরা যাতে টিকা নিয়েই কাজে যোগ দেন সেটাও নিশ্চিত করতে বলেছেন মমতা। এর পাশাপাশি খুচরো দোকানগুলি খোলার সময়সীমাও দুপুর ৩ টে থেকে বাড়িয়ে ৪ টে করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

কর্মীদের টিকাকরণ


এদিন মুখ্যমন্ত্রী “নিজেদের কর্মীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করুন। ওই টিকা নিজেরাই কিনুন। ভেবে নিন, ওই টাকা আপনারা রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলার ত্রাণে দিচ্ছেন।”  তিনি বলেন, ভ্যাকসিনে যত টাকা ছিল, খরচ করেছি। ১.৪ কোটি লোককে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। সুপার স্প্রেডার হকার, সবজি বিক্রেতা, গাড়ির চালকদের দিচ্ছি টিকা। শিল্পসংস্থাগুলি ভ্যাকসিন দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পারে। আপনারা নিজেদের কর্মীদের বাঁচাতে পারেন। আপনারা শ্রমিকদের টিকা দিন। ভ্যাকসিনের টাকাটা বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে দিতে পারেন। ওই টাকা আমরা নেব না। ওটা ভ্যাকসিন কিনে দিয়ে দেব।     

Related posts

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতহানির অভিযোগ! চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পথে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস

মালদহে দেবের হেলিকপ্টারে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তারকা অভিনেতা

নির্বাচনী সভা থেকে ‘চাকরিহারা’দের বড়সড় আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর