ডেস্ক: চারিদিকে শুধুই স্বজন হারা কান্নার রব। দেশজুড়ে অক্সিজেনের আকাল, বেডের সমস্যা। শ্মশানে, গোরস্থানে মৃতদেহের লম্বা লাইন। নিজের রাজ্যে অক্সিজেন, ওষুধের অভাব নেই বলে বার বার সাফাই দিয়েছেন যোগী। সেই রাজ্যে হাসপাতালের চরম অব্যবস্থার ছবি উঠে আসছে সংবাদমাধ্যমে। প্রকাশ্যে এল আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনার খবর।
শুক্রবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ৩০ বছর দেশের সেবা করলেও নিজের জীবনের চরম বিপদের সময়ে কাউকে পাশে পেলেন না কার্গিল যুদ্ধের হিরো। কার্গিল যুদ্ধের নায়ক সুবেদার মেজর হরি রাম দুবে। এখন তিনি অবসরপ্রাপ্ত। তাঁর ছেলে কোভিড -১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। ছেলে মৃত্যুতে ভেঙে পড়ে, প্রবীণ নায়ক জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের মৃতদেহ শেষবার দেখার জন্য তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে।
বলেন, “আমি ১৯৮১ সাল থেকে ২০১১ অবধি আমার মাতৃভূমিকে সেবা করেছি। কার্গিল থেকে বারমুল্লা থেকে লাদাখ এবং লুকুং পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে শত্রুপক্ষের থেকে আগলে রেখেছিলাম দেশকে। আমি বারামুল্লায় সন্ত্রাসদের নির্মূল করেছি। কারগিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, কামান বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে দেশেকে রক্ষা করেছি। কিন্তু দেশ আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে সাহায্য করল না। দেশের স্বাস্থ্যের করুণ ব্যবস্থাপনা আমার ছেলে অমিতাভকে মেরে ফেলল।
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫২
একমাত্র ছেলেকে শেষবারের মতো চোখের দেখা দেখতে চেয়ে মেয়ে, বউ আর বৌমাকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকলেও মেলেনি সুযোগ।
প্রাক্তন সেনা অফিসার হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতাকের তরফে মেলেনি পিপিই কিট। অবশেষে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে তড়িঘড়ি সুরক্ষা বিধি মেনে ছেলেকে দেখার বন্দোবস্ত করা হয়।