ডেস্ক: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে দেশ জুড়ে অব্যবস্থা ও বিশৃঙ্খলার যে ছবি দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে শীর্ষ আদালত। কোভিডের একাধিক অব্যবস্থা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র। শুক্রবার শুনানি চলাকালীন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ভ্যাকসিনের দামের তারতম্য থেকে কো-উইনের ব্যবহার, দিল্লিতে ওষুধের ঘাটতি, অক্সিজেন সরবরাহ, সোশ্যাল মিডিয়ার উপর কঠোরতা-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেন।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারই কেন ১০০ শতাংশ টিকার ডোজ নিজেই কিনে নিচ্ছে না? কেন্দ্র কিনলেই তো সবচেয়ে সহজে সমানভাবে টিকা বন্টন করা যাবে।’ বেঞ্চে রয়েছেন অপর দুই বিচারক এল নাগেশ্বরা রাও এবং রবীন্দ্র ভাট। বেঞ্চ এদিন কেন্দ্র কবে, কীভাবে ৫০ শতাংশ টিকা বন্টনের ব্যবস্থা করবে, তাই নিয়েও প্রশ্ন করেন তাঁরা।
১৮-৪৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা ঠিক কত, জানাক কেন্দ্রীয় সরকার। আদালত বলেছে, ‘টিকা তৈরিতে বেসরকারি সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ শুরু করেছে। টিকা তৈরিতে কেন্দ্র বিনিয়োগ করুক, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।টিকা নিয়ে এভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিল সুপ্রিম কোর্ট।
একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ‘যাঁরা লেখাপড়া জানেন না, কো উইন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁদের ভ্যাকসিনেশন কীভাবে হবে’? কারণ, কো-উইন বা আরোগ্য সেতুতে নাম নথিভুক্ত না করলে টিকা পাওয়া সম্ভব নয় বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে এমন স্বচ্ছতা থাকা দরকার, যেখানে সাধারণ মানুষ জানতে পারেন কতটা অক্সিজেন সরবরাহ হচ্ছে, কোন হাসপাতালে কতটা অক্সিজেন রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নেটমাধ্যমে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরতেই পারেন সাধারণ মানুষ, সেক্ষেত্রে কোনও দমননীতি চালানো উচিত নয়। করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় পর্বে এমনই দৃঢ় মত প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কঠোরতা নিয়েও এদিন সুপ্রিম কোর্ট নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে। বিচারপতি বলেন, যদি কোনও নাগরিক সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কোনও অভিযোগ ব্যক্ত করেন, তা অন্যায় বলে দাগিয়ে দেওয়া যাবে না। তেমনটা হলে তা আদালত অবমাননার সমান হবে। আদালত এর জন্য ব্যবস্থাও নেবে।