কলকাতা: আজ, সোমবার ভারত ও বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক পর্যায়ের (এফওসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ঢাকায়। সাধারণত এই বৈঠক দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা ও উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে হলেও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি এই বৈঠকের গুরুত্বকে অনেকটাই বাড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। সেদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা এবং সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনি অধিকার নিয়ে বারবার সরব হয়েছে ভারত। যদিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই আছেন।
কূটনৈতিক মহলের মতে, হাসিনার ভারতে সাময়িক আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশে অসন্তোষের কারণ হয়ে উঠেছে। তদারকি সরকারের একাধিক উপদেষ্টা এবং বিএনপি এই প্রসঙ্গে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতেও এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মতে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রভাব ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য ও সম্পর্কের ওপর পড়ছে। তারা মনে করছেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। নতুন পরিস্থিতি অনুযায়ী সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সংখ্যালঘু সুরক্ষা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক, সীমান্ত ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি সামলানোর উপায় এবং পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে। ভারত ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এই বৈঠক কীভাবে বর্তমান অস্থিরতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।