নয়াদিল্লি: সময় যত গড়াচ্ছে,ততই বাড়ছে ভারত ও কানাডার মধ্যে উত্তেজনা। খলিস্তানপন্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর একটি অযৌক্তিক বক্তব্যের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এ বার কানাডার নাগরিকদের ভিসা বন্ধ করল ভারত। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর নাগাড়ে ভারত-সমালোচনার কড়া জবাব দিল ভারত। আজ, বৃহস্পতিবার এই কথা ঘোষণা করল ভারত।
একদিকে মোদী সরকার কানাডাকে খলিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্রমাগত দাবি জানিয়ে আসছে, অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে বহুবার প্রকাশ্যে খলিস্তানপন্থীদের সমর্থনে দাঁড়াতে দেখা গেছে। গত তিন দিনে অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টায় দুই দেশের মধ্যে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেগুলির কারণে দুই দেশের সম্পর্কের ব্যবধান আরও বেড়েছে।
চলতি বছরের ১৮ জুন কানাডার সারে শহরে খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে, কয়েকদিন আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারত সরকারকে দায়ী করেছেন। ট্রুডো দাবি করেন, তাঁর সরকারের কাছে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে যে, খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের এজেন্টরাই যুক্ত।
তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানায় ভারতের বিদেশমন্ত্রক। কানাডার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভারত সরকার বলেছে, খালিস্তানি ও চরমপন্থীদের থেকে দৃষ্টি সরাতে এ ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে। ট্রুডোর অভিযোগের পর ভারত ও কানাডা দুই দেশই একজন করে সিনিয়র কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে তাদের দেশ থেকে।
বুধবার, ভারত পরোক্ষ ভাবে কানাডাকে ভারতীয়দের জন্য একটি অনিরাপদ দেশ হিসাবে চিহ্নিত করেছে এবং সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের বা সেখানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করার জন্য চরম সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে।
এর পর, বৃহস্পতিবার বড় দুটি ঘটনা ঘটে। প্রথমত, কানাডায় গুলিতে নিহত গ্যাংস্টার সুখদুল সিং ওরফে সুখা দুনেকে। তিনি খালিস্তানি সমর্থক আরশদীপ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। লরেন্স বিষ্ণোই এই হত্যার দায় নেন।
এর পরপরই কানাডার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেয় ভারত। কানাডার নাগরিকদের ভিসা পরিষেবা স্থগিত করে দেওয়া হয়। তথ্য অনুযায়ী, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।