নবদম্পতির মধুচন্দ্রিমায় নৃশংস খুন। মেঘালয়ে স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের ছক বিয়ের মাত্র তিন দিনের মধ্যেই কষেছিলেন স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে চ্যাটে সোনম জানিয়েছিলেন, স্বামীর শারীরিক ঘনিষ্ঠতা তাঁর অপছন্দ। এমনকি বিয়ের আগেই স্বামী থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিয়ের তিন দিন পরই রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে দাবি পুলিশের। এজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে মেঘালয়ের মতো দূরবর্তী ও দুর্গম স্থান বেছে নিয়েছিলেন অভিযুক্তা।
মে মাসের ১০ তারিখ ইন্দোরে বিয়ে হয় রাজা ও সোনমের। ২১ মে তাঁরা মধুচন্দ্রিমার জন্য মেঘালয় পৌঁছন। এরপর ২৩ মে থেকে নিখোঁজ হন তাঁরা। ২ জুন চেরাপুঞ্জির জঙ্গলে গভীর খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার দেহ। পুলিশ প্রথম থেকেই সন্দেহ করছিল, দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত খুনের শিকার হয়েছেন তিনি।
১৬ দিন পলাতক থাকার পর সোমবার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে আত্মসমর্পণ করেন সোনম। পুলিশের জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন, ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করে স্বামীকে খুন করিয়েছেন। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা, এছাড়াও ধৃত আকাশ রাজপুত, বিকাশ ওরফে বিকি এবং আনন্দ।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, রাজার দেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর মাথার সামনের এবং পিছনের অংশে দুটি গভীর ক্ষত ছিল।