ফের অশান্ত মণিপুর। সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে কাংপোকপি জেলায়, যেখানে শনিবার নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যক্তি, আহত অন্তত ৪০ জন। তাঁদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছেন।
শনিবার দিনভর চলা সংঘর্ষের জেরে রবিবার কুকি জনগোষ্ঠীর ডাকা বন্ধে থমথমে ছিল কাংপোকপি সহ আশপাশের এলাকা। রাস্তায় পোড়া গাড়ি, বাড়ি, ছড়িয়ে থাকা গুলির খোল ও রক্তের দাগ হিংসার সাক্ষ্য বহন করছে। যদিও সকাল থেকে কিছুটা উত্তেজনা থাকলেও আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যাতে অশান্তি আর না বাড়ে, সেই কারণে স্পর্শকাতর এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং রুটমার্চ চলছে।
রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি রয়েছে এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লা। ২ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন এবং ৮ মার্চ থেকে সমস্ত রাস্তা সচল রাখার নির্দেশ দেন। তবে শনিবার কুকি জনগোষ্ঠীর কিছু মানুষ পথ অবরোধ করলে উত্তেজনা ছড়ায়।
অভিযোগ, পুলিশ অবরোধ তুলতে বলপ্রয়োগ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করে ও কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই সংঘর্ষের সময়ই নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে এক তরুণের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, তাদের ২৭ জন কর্মী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।