ডেস্ক: ‘নির্বাচন চলাকালীন ও ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য রাজ্য সরকার অনুদান দেবে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা জানান। তিনি বলেন, ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যে ১৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ১ জন সংযুক্ত মোর্চার কর্মী আছে। যে দলের কর্মী খুন হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা ঘোষণার পাশাপাশি, বিজেপিকে সংযত হওয়ার সতর্কও করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, কমিশনের অধীনে আইনশৃঙ্খলা থাকাকালীন ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিনই রাজ্য এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চার প্রতিনিধির একটি দল। এই বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেন মমতা। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘বিজেপির নেতামন্ত্রীরা ছ’মাস ধরে বাংলায় এসে বাংলা দখল করতে গিয়ে ভারতবর্ষকে কোভিডে ধ্বংস করে দিয়েছে। কই অক্সিজেন যখন পায় না, তখন টিম আসে না তো, স্যালাইন যখন পায় না, তখন টিম আসে না তো, ভ্যাকসিন নেই, তথন টিম আসে না তো, হাথরাসে ঘটনা ঘটলে টিম আসে না তো, দিল্লিতে দাঙ্গা হয়ে গেলে টিম আসে না তো, উত্তরপ্রগেশে দাঙ্গা হয়ে গেলে টিম আসে না তো। সাংবাদিকদের খুন করা হলে টিম আসে না তো।
আরও পড়ুন: একের পর এক বিস্ফোরক টুইট, তথাগত রায়কে দিল্লিতে তলব
মমতা বললেন, ‘করোনায় বন্ধ মিটিং-মিছিল, তাও কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বাংলায়? ভোট পরবর্তী হিংসা না হওয়ার জন্য শান্তির বার্তা দিয়েছি। সংযত হোক বিজেপি, মানুষের রায় মেনে নিন।’
ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের ট্যুইট প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপালের কোনও কাজ নেই, সারাদিন ট্যুইট করেন, প্রতিক্রিয়া দেব না।’
মমতা বলেন, ২৪ ঘণ্টাও হয়নি শপথ নেওয়ার। তার মধ্যে সকাল ১১ টায় শপথ আর সন্ধ্যা সাতটায় কড়া চিঠি এবং আজ সকালে টিম।’বিজেপি ফেক ভিডিও ছড়াচ্ছে, মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে। বাংলার বদনাম করার চেষ্টা করছে বিজেপি।’ ‘মহিলারা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে বলে মিথ্যা রটনার চেষ্টা। মন্ত্রীরা এসে প্ররোচনা দিচ্ছে, এগুলি বন্ধ করুন।’