ওয়েবডেস্ক : রাজনৈতিক বিভেদ কোনওদিনই তার সৌজন্য ও মানবতাবোধের পরিপন্থী হয়নি। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার সৌজন্য ও মানবতাবোধ রীতিমত ঈর্ষণীয়। আরও একবার তার নজির রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিহত বিজেপি নেতার স্ত্রীকে তিন সপ্তাহের মধ্যে চাকরিতে নিয়োগ করল রাজ্য সরকার।
উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে নিহত বিজেপি বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়ালের স্ত্রী চাকরি পেলেন দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সৈকতের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী নবপর্ণার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে এলেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, সঙ্গে ছিলেন টিএমসিপি রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
স্বভাবতই স্বস্তিতে পরিবার। পাশাপাশি, ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদলের এমন একটি পদক্ষেপ মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
ডিসেম্বরের ১২ তারিখ হালিশহর এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে বেরিয়ে গণপিটুনিতে খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি, তরুণ সৈকত ভাওয়াল। তাঁকে ঘিরে ধরে হকিস্টিক, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় অভিযোগ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
এর তিন সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই সৈকত ভাওয়ালের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীর হাতে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। সৈকতের পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলার পর পার্থবাবু জানান, বিজেপির নিহত বুথ সভাপতির ভাই হালিশহর পুরসভায় চাকরির জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সেই আবেদনও দ্রুত মঞ্জুর করার চেষ্টা চলছে।
চাকরি পেয়ে পাওয়ার পর সৈকতের স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ”এত কম সময়ের মধ্যে আমাদের পরিবারকে এভাবে সাহায্য করার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।”